বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
(মানে-২, ফন ডিক) (ম্যাটিপ-আত্মঘাতী)
মিউনিখ, ১৪ মার্চ: ২০০৫-০৬ মরশুমের পর এই প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে নেই কোনও জার্মান ক্লাব। পাশাপাশি ২০০৮-০৯ মরশুমের পর এবারই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চারটি ক্লাব ইউরোপ সেরার দৌড়ের শেষ আটে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম হটস্পার ও লিভারপুল এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে। বুধবার ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ এরিনায় লিভারপুলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় বায়ার্ন মিউনিখের। প্রমাণ হল, একঝাঁক বয়স্ক ফুটবলার নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেশিদূর এগনো সম্ভব নয়। ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি, রবার্ট লিওয়ানডস্কি, ম্যাটস হামেলস, ম্যানুয়েল ন্যুয়েররা এখন অস্তমিত সূর্য। গোধূলির আভাই তাঁদের থেকে কাঙ্ক্ষিত, দ্বিপ্রহরের প্রখর তেজ নয়।
অ্যানফিল্ডে প্রথম পর্বের ম্যাচ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর জুরগেন ক্লপ বলেছিলেন. ‘এবার তো চাপ ওদের উপর। ঘরের মাঠে খেললে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও থাকে। অ্যালায়েঞ্জ এরিনায় আমরা এক গোল দিলে বায়ার্ন বিপদে পড়বে। তখন ম্যাচ জেতার জন্য ওদের দু’গোল করতে হবে।’ কথাটা মন্দ বলেননি লিভারপুল কোচ। বুধবার পরিকল্পিত ফুটবল খেলে বায়ার্নকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠার পর জার্মান কোচের বক্তব্য, ‘এবার আমাদের লক্ষ্য সেমি-ফাইনালে ওঠা। ড্রয়ের দিকে তাই তাকিয়ে রয়েছি।’
অ্যাওয়ে ম্যাচে পছন্দের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন ক্লপ। গোলে আলিসন। রক্ষণ সামলানোর প্রধান দায়িত্ব ছিল ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, জোয়েল ম্যাটিপ, ভার্জিল ফন ডিক ও অ্যান্ড্রু রবার্টসনের উপর। মাঝমাঠে জর্ডন হেন্ডারসন, ভিনালডাম ও জেমস মিলনার। আপফ্রন্টে সাদিও মানে ও মহম্মদ সালাহ’র পাশে রবার্তো ফারমিনো। ম্যাচের প্রারম্ভিক পর্বে দুই দলই একে অপরের শক্তি ও দুর্বলতা পরখ করে নেয়। ১৩ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন হেন্ডারসন। তাঁর পরিবর্তে নামা ফাবিনহো যথেষ্ট ভালো খেলেছেন। বায়ার্নের আপফ্রন্টে রিবেরির মধ্যে চেষ্টা ছিল। কিন্তু রবার্ট লিওয়ানডস্কি নিষ্প্রভ থাকায় তিনি যোগ্য সঙ্গত পাননি। কলম্বিয়ান মিডিও হামেস রডরিগেজও নজর কাড়তে ব্যর্থ।
লিভারপুলের প্রথম গোল ২৬ মিনিটে। পিছন থেকে বাড়ানো ভার্জিল ফন ডিকের বল ধরে দুরন্ত টার্নিংয়ে বিপক্ষ গোলরক্ষককে বোকা বানান সাদিও মানে। তারপর নিখুঁত চিপে বল জড়িয়ে দেন জালে (১-০)। গোল হজম করার পর বেশ কিছু আক্রমণ শানায় বায়ার্ন মিউনিখ। ৩৯ মিনিটে তার সুফল পায় তারা। ডানদিক থেকে গাবরির বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন জোয়েল ম্যাটিপ (১-১)। তাঁর পিছনেই ছিলেন জার্মান ক্লাবটির পোলিশ তারকা রবার্ট লিওয়ানডস্কি। বিরতির আগে তিনি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল পরিকল্পিত ফুটবল খেলে। এই পর্বে বায়ার্ন মিউনিখের লক্ষ্য ছিল, রক্ষণ জমাট রেখে প্রতি-আক্রমণে ওঠা। রিবেরির পরিবর্তে কিংসলে কোম্যানকে নামিয়ে বিপক্ষ রক্ষণে চাপ বাড়াতে চেয়েছিল বায়ার্ন। কিন্তু ফন ডিকের নেতৃত্বে লিভারপুল ডিফেন্ডাররা কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়ায় সেই লক্ষ্য সফল হয়নি। ৬৯ মিনিটে ডানদিক থেকে জেমস মিলনারের কর্নারে ফন ডিকের দুরন্ত হেড হার মানায় বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়েরকে (২-১)। নিখুঁত স্পটজাম্পে ম্যাটস হামেলসকে পরাস্ত করে মাথায়-বলে সংযোগ ঘটান ফন ডিক। এই গোলই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ৮৪ মিনিটে মো সালাহর বাড়ানো বল থেকে জার্মান ক্লাবটির কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সাদিও মানে (৩-১)।