বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
(মেসি-২, কুটিনহো, পিকে, ডেম্বেলে) (টউসার্ট)
বার্সেলোনা, ১৪ মার্চ: ‘আমরা যথেষ্ট ভালো খেলেছি। কিন্তু ফুটবল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলারের জন্য আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। গোল না পেলে ও গোলের রাস্তা খুলে দিয়েছে। যখন গোলের পথ খোলেনি তখন খেলা তৈরি করেছে। ও অবিশ্বাস্য।’ বক্তার নাম নবিল ফেকির। লিয়ঁ’র ফরাসি তারকা। বুধবার ম্যাচ শেষে লিও মেসি সম্পর্কে এই মন্তব্যই শোনা গেল তাঁর থেকে। ড্রেসিং-রুমেও নবিল বারবার স্বীকার করেছেন মেসি-ম্যাজিকেই রাউন্ড অব সিক্সটিনে থেকে বিদায় নিল লিয়ঁ।
মঙ্গলবার দুরন্ত হ্যাটট্রিকে প্রায় একার কাঁধে জুভেন্তাসকে শেষ আটে পৌঁছে দিয়েছেন রোনাল্ডো। ২৪ ঘণ্টা পরে মেসিও পেলেন জোড়া গোল। পাশাপাশি অ্যাসিস্টের সংখ্যাও দুই। মূলত তাঁর জন্যই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনা। তবে বড় ব্যবধানে জিতলেও আর্নেস্তো ভালভার্দে-ব্রিগেডের পারফরম্যান্স বেশ কিছু প্রশ্ন অবশ্যই তুলে দিল। পরিসংখ্যান বলছে, ৫-১ ব্যবধানে জিতলেও কাতালন ক্লাবটির বল পজেশন ছিল ৫৫ শতাংশ। প্রতি ম্যাচে গড়ে সাতশো পাস খেলা দল লিয়ঁ’র বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ করেছে ৫৭৭টি পাস। প্রথমার্ধের শেষদিকে লিয়ঁ’র পাসিং ফুটবলের সামনে মাঝেমধ্যেই অসহায় মনে হয়েছে ভালভার্দের দলকে। তবে মেসি এবং আপফ্রন্টে তাঁর সহ-ফুটবলার লুই সুয়ারেজ, ফেলিপে কুটিনহো এবং পরিবর্ত হিসেবে নামা ওসুমানে ডেম্বেলেরা সুনাম বজায় রেখে খেলায় প্রতিযোগিতার শেষ আটে বার্সেলোনা।
প্রথম পর্বের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। তাই ঘরের মাঠে জয়ের নেশায় শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে বার্সা। তবে প্রথম গোলের জন্য তাদের ১৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বক্সের মধ্যে সুয়ারেজকে ফাউল করার জন্য পেনাল্টি পায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। কিন্তু অ্যাকশন রিপ্লে’তে দেখা গিয়েছে, লিয়ঁ’র ডিফেন্ডারটিকেই ট্র্যাপ করেছিলেন সুয়ারেজ। বুদ্ধিদীপ্ত পানেনকা কিকে দলকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন মেসি (১-০)। বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলের কারিগর লুই সুয়ারেজই। আর্থারের পাস ধরে তিনি বিপক্ষ দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে পাস দেন ফেলিপে কুটিনহোকে। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ভুল হয়নি ব্রাজিলিয়ান তারকাটির (২-০)। ম্যাচের বয়স তখন ৩১ মিনিট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় লিয়ঁ। ৫৮ মিনিটে টউসার্টের জোরালো ভলিতে করা গোল তারই ফসল (২-১)। কিন্তু এই গোলের পর ক্রমশ ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে বার্সা। ৭২ মিনিটে কুটিনহোকে তুলে ওসুমানে ডেম্বেলেকে নামানোর পর লিয়ঁ’র রক্ষণে চাপ বাড়ে। মিনিট ছয়েক পরে সের্গিও বুস্কেতসের পাস ধরে কোমরের দোলায় বিপক্ষের একাধিক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ মেসির (৩-১)। এই পর্বে আর্জেন্তাইন মহাতারকাটিকে আটকানোই ছিল লিয়ঁ’র কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। গতি ও স্কিলের সংমিশ্রণে তিনি বারবার ফাটল ধরিয়েছেন বিপক্ষ রক্ষণে। ৮১ মিনিটে তাঁরই ঠিকানা লেখা পাস থেকে চতুর্থ গোল জেরার্ড পিকের (৪-১)। বার্সেলোনার শেষ গোলটিও মেসির তৈরি করে দেওয়া। ডেম্বেলের কাজ ছিল শুধু লক্ষ্যে অভ্রান্ত থাকা (৫-১)।