মায়ামি,১৪ মার্চ: শুক্রবার মায়ামিতে শুরু হওয়া হচ্ছে ফিফার কাউন্সিল মিটিং। সেখানে মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ থেকেই দলের সংখ্যা ৪৮ করার বিষয়টি। ফিফা সভাপতি ইনফানতিনো বিভিন্ন এজেন্ডার মধ্যে এই ব্যাপারটিতেই সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন। এতে হয়তো ফিফার খরচ ৩০০ কোটি থেকে বেড়ে ৪০০ কোটি হবে। পাশাপাশি ‘পার্টনার’ হিসাবে আরও কিছু সংস্থাকে পেতে আশাবাদী ফিফার সভাপতি। ২০২২ সালে ৪৮ দেশের বিশ্বকাপ হলে ২০টি ম্যাচ বাড়বে। মোট ম্যাচ গিয়ে দাঁড়াবে ৮০টি। কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে কাতারের পক্ষে ম্যাচ করা সম্ভব নয়। তাই মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে ম্যাচ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কিন্তু কাতার এককভাবে বিশ্বকাপ সংগঠনের সুযোগ হারাবে। এর আগে এশিয়ায় ২০০২ সালে বিশ্বকাপ হয়েছিল। যুগ্মভাবে করেছিল জাপান ও কোরিয়া। এশিয়ার কোনও দেশ এককভাবে বিশ্বকাপ সংগঠন করেনি। কাতারের কাছে সেই সুযোগ আছে। এই কৃতিত্ব কোনও ভাবে হারাতে চাইছে না কাতার ফুটবল সংস্থা। তাছাড়া কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো নয়। ফিফা পাল্টা হিসাবে কুয়েত এবং ওমানের কথা ভাবছে ফিফা। নাম উঠছে বাহরিনেরও। কিন্তু সৌদি আরব-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-বাহরিনের সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। মধ্যপ্রাচ্যে কাতার প্রায় একঘরে। বেশ কিছু ব্যাপারে মধ্য প্রাচ্যের অন্য দেশগুলি কাতারের উপর কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
ফিফা প্রেসিডেন্টকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, ‘যদি উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পুরানো তিক্ততা ভুলে মুখোমুখি আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন তাহলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। অনেক কিছুই হতে পারে আগামী দিনে। ৪৮ দেশের বিশ্বকাপ হওয়ার সিদ্ধান্ত তো আগেই নেওয়া হয়েছে।