নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আই লিগের ফয়সালা হলেও চরম নাটক অব্যাহত। গত শনিবার খেতাব নির্ধারক ম্যাচে মিনার্ভা পাঞ্জাব এফ সি শেষ দিকে নিখাদ ‘স্পোর্টিং স্পিরিট’ দেখিয়ে খেলেনি। এই নিয়ে ম্যাচ কমিশনার বেশ কড়া রিপোর্ট দিয়েছেন ফেডারেশনের দপ্তরে। তাই ওই বিতর্কিত ম্যাচে গটআপের ছায়া! প্রাক্তন রেফারি তথা ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট নিয়ে বেশ তোলপাড় ফুটবল হাউসে। আই লিগ কমিটি ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন ইন্টিগ্রিটি অফিসারের কাছে। তিনি যা রিপোর্ট দেবেন তা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সেদিন ম্যাচে মিনার্ভা এফ সি পূর্ণ শক্তির দল নামালেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই বিদেশিকে তুলে নেন কোচ শচীন বাদাবে। তবে দুই বিদেশিই তেমন খেলতে পারছিলেন না। মিনার্ভার বিরুদ্ধে চেন্নাই শেষ দিকে পেনাল্টি পায়। পেনাল্টি মারার আগে মিনার্ভার গোলরক্ষককে লক্ষ্য করে কিছু ইঙ্গিত করা হয় চেন্নাই দলের পক্ষ থেকে। এই সবই টুকরো টুকরো ভাবে বলা আছে রিপোর্টে। তবে ইন্টিগ্রিটি অফিসারের রিপোর্ট মিনার্ভার বিরুদ্ধে গেলেও চেন্নাই এফ সি’র কাছ থেকে খেতাব কেড়ে নেওয়া এখন আর সম্ভব নয়। তবে এই রিপোর্টের জন্যই আপাতত ট্রফি দেওয়া হচ্ছে না চেন্নাই সিটি এফ সি’কে। আই লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত জানান, ‘তদন্ত রিপোর্টের গতি প্রকৃতি দেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ট্রফি দেওয়ার অনেক সময় আছে। চেন্নাই ফুটবলারা এখন তো ছুটিতে আছেন।’ সূত্রের খবর, ইন্টিগ্রিটি অফিসার তেমন কড়া রিপোর্ট দিলে মিনার্ভা সাসপেন্ড হতে পারে। মিনার্ভার কর্তারা ফেডারেশন বিরোধী। এই ইস্যুতে তাঁকে বেগ দিতে পারে ফুটবল হাউস।
এদিকে, এই ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের কর্তারা। লাল হলুদের মুখপাত্র দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আমরা যেরকম সন্দেহ করেছিলাম সেটা যে ঠিক ছিল তার প্রমাণ ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট। তাছাড়া চেন্নাই সিটি এফ’সি শেষ তিনটি ম্যাচের (চার্চিল, মোহন বাগান, মিনার্ভা এফ সি) রেফারি সন্তোষকুমার। হতে পারে সন্তোষকুমার ভালো মানের রেফারি। কিন্তু চেন্নাইয়ের পরপর তিনটি ম্যাচে ভূমিপুত্র কেন বাঁশি পাবেন? এই নিয়ে আই লিগের সিইও এবং রেফারিজ কমিটির প্রধান জবাব দিন।’