বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চাহাল। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় বোলিংয়ের দ্বিফলা আক্রমণ। গত কয়েক বছরে বিশ্বক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছেন এই দুই তরুণ রিস্ট স্পিনার। তাঁদের উত্থানে কার্যত আড়ালে চলে গিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজাও। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কুলদীপ ও চাহালকে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বিশ্বের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরাও। এই প্রসঙ্গে ম্যাথু হেডেন বলেন, ‘বৈচিত্র্যই লেগ স্পিনারদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিকাংশ লেগিই রান বাঁচানোর তাগিদে সেই পথে হাঁটে না। কিন্তু কুলদীপের সাহস রয়েছে। আর সেই কারণেই ও বৈচিত্র্য বজায় রেখে আক্রমণাত্মক বোলিং করতে পারে।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘কুলদীপ কতটা বল ঘোরায়, তা বড় কথা নয়। ওর আসল শক্তি হল শেন ওয়ার্নের মতো ড্রিফট করানোর দক্ষতা। ব্যাটসম্যানের দিকে ভেসে আসা ডেলিভারিগুলো বাতাসেই অনেকটা বেঁকে যায়। আর সেটাও ভিন্ন গতি ও অ্যাঙ্গেলে, যা বুঝতে গিয়ে বারবার বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় ব্যাটসম্যানকে। এই কারণেই বিশ্বের বাকি স্পিনারদের থেকে কুলদীপ আলাদা। সাফল্যও পাচ্ছে নিয়মিত।’
স্পিন বোলিংয়ের মোকাবিলায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি ছিল হেডেনের। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে হরভজন সিং, অনিল কুম্বলের মতো স্পিনারদের সামলেছেন অজি ওপেনারটি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানিয়েছেন, কুলদীপকে খেলা যতটা কঠিন, তাঁর সঙ্গী চাহালকে সামলানো ততটা কঠিন নয়। হেডেনের কথায়, ‘যুজবেন্দ্র চাহালও যথেষ্ট প্রতিভাবান। তবে কুলদীপের মতো ভয়ঙ্কর নয়। ও অন্য ধরনের বোলার। একেবারে স্টাম্প টু স্টাম্প বল করে। সোজা বল রাখে। ফ্লাইট বিশেষ দেয় না। ফলে কাঙ্খিত ড্রিফটও পায় না। আমাকে যদি কুলদীপ ও চাহালের মধ্যে কোনও একজনের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে বলা হত, তবে নিশ্চিত ভাবে আমি দ্বিতীয় জনের বিরুদ্ধেই খেলতে চাইতাম। কারণ, চাহালের হাতে ড্রিফট নেই।’
একদিনের ক্রিকেটে ইদানীং ফিঙ্গার স্পিনাররা খুব একটা দাপট দেখাতে পারছেন না। এর কারণ ব্যাখ্যা করে হেডেন বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখার শিল্পই অফ-স্পিনারদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অস্ত্র। যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ওরা কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনকার অফ-স্পিনারদের মানসিকতার বদল এসেছে। রান বাঁচাতে ওরা অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে পড়েছে। ওদের টেনে টেনে করা বোলিংয়ের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে গিয়েছে ব্যাটসম্যানরা। সত্যি বলতে কি, এখনকার অফ-স্পিনার বলের গতির হেরফের ঘটানোর স্কিল হারিয়ে ফেলেছে। এমনকি ওরা ফ্লাইট দিতেও ভয় পায়। আর সেই কারণেই ওদের কার্যকারিতাও কমে গিয়েছে।’