বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মোহালিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৩৫৮ রান তুলেছিল। তখনও মনে হয়নি অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া প্রায় অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটি জিতে নেয়। এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে এত বড় টার্গেট তাড়া করে আর কোনও দল জিততে পারেনি। পিটার হ্যান্ডসকম্বের অনবদ্য ১১৭, উসমান খাওয়াজার দুরন্ত ৯১ ও অ্যাস্টন টার্নারের ৪৩ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস কোহলি বাহিনীর যাবতীয় প্রয়াস ব্যর্থ করে দেয়। ম্যাচের পর প্রাক্তন বিশিষ্ট ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর জানান, ‘রাতে শিশিরের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বল গ্রিপ করতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু এই কথা মনে রেখেও বলছি এই উইকেটে ৩৫৯ রান ‘ডিফেন্ড’ করতে না পারাটা বেশ হতাশজনক। আশা করি, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বোলারদের ব্যর্থতা নিয়ে দ্রত ওয়ার্ক আউট করবে।’
তবে গাভাসকর ভারতীয় বোলারদের নিয়ে যত না উদ্বেগ দেখান, তার চেয়ে অনেক বেশি উচ্ছ্বাস দেখান অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ক্রমশই দল হিসাবে দানা বাঁধছে। এই দলে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার নির্বাসন কাটিয়ে ফিরে আসবে। দুই জনেই রি- হ্যাবের মধ্যে আছে এখন। ফিট হয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট সময় আছে। আর মিচেল স্টার্কও কয়েকমাসের মধ্যে ফিট হয়ে ফিরবে। তাই অস্ট্রেলিয়া দল বিশ্বকাপের আগে অন্য মাত্রা পেয়ে যাবে। এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিভার অভাব নেই। অস্ট্রেলিয়া তাই দেখিয়ে দিল বাইশ গজে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।’
সানির মতে, ‘পিটার হ্যান্ডসকম্ব প্রয়োজনে একটি দিক ধরে খেলতে পারে। স্ট্রাইক রোটেড করতে পারে। এমন ধরণের একজন ব্যাটসম্যান দলে থাকায় মিডল অর্ডারে নির্ভরতা বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার। সেই সঙ্গে স্টিভ স্মিথ,ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো একদিনের ক্রিকেটে উপযোগী ব্যাটসম্যান দলে থাকবে বলেই আশা করছি। অস্ট্রেলিয়া কিন্তু মিডল অর্ডারে অ্যাস্টন টর্নারের মতো একজন ব্যাটসম্যান পেয়ে গিয়েছে। ওর খেলা লক্ষ্য করুন। ‘ ভি’-এর মধ্যে বড় শট খেলেছে। ছক্কা মেরেছে সংক্ষিপ্ততম পথে-লেগ স্লিপের মাথার উপর দিয়ে। হাতে যে দারুণ বাহারি শট আছে তা নয়। তবে সাহস আছে। আসলে বিগ ব্যাশের ফসল এই তরুণ ক্রিকেটার।’ গাভাসকরের আরও পর্যবেক্ষণ হল, ‘উসমান খাওয়াজাকে ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে খেলতে দেখেছিলাম। এখন অনেক পরিণত। ফিনচও ফর্মে ফিরছে। তাই অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটিও জমাট বাঁধছে। দলে কোনও বড় ধরণের চোট সমস্যা সৃষ্টি না হলে অস্ট্রেলিয়াকে লন্ডনে খাটো করে দেখা উচিত হবে না। গত এক বছর সব ফরম্যাটের ক্রিকেটেই অস্ট্রেলিয়ার গর্ব করার মতো পারফরম্যান্স ছিল না। কিন্তু বিশ্বকাপের মুখে অন্য অস্ট্রেলিয়াকে দেখতে পাচ্ছি।’