শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
রবিবার শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে উমেশের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা রাখতে পারেননি তিনি। প্যাট কামিন্স ও ঝিয়ে রিচার্ডসন শেষ ওভারে ১৪ রান তুলে নেন। যার মধ্যে ছিল দুটি বাউন্ডারি। শেষ বলে দু’রান নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্বভাবতই খলনায়ক বনে যান বিদর্ভের পেসারটি। এই প্রসঙ্গে বুমরাহ বলেন, ‘ডেথ ওভারে কী করতে চাইছি, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হয়। উমেশও নিশ্চয়ই পরিকল্পনা করেই বোলিং লাইন-আপে গিয়েছিল। কিন্তু ডেথ ওভারে মাঝেমধ্যে কোনও পরিকল্পনাই কাজে আসে না। আমরা ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। তবে এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’ উমেশ চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। কিন্তু বুমরাহ অসাধারণ বোলিং করেছেন। চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। যার মধ্যে ১৯তম ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে দুটি উইকেট দখল করে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন বুমরাহ। আরও চমকপ্রদ হল এই ম্যাচে তাঁর ‘ডট’ বলের সংখ্যা। ৪ ওভারে অর্থাৎ মোট ২৪টি বলের মধ্যে বুমরাহর ‘ডট’ বল ছিল ১৮! টি-২০ ম্যাচে রীতিমতো তাক লাগানো পরিসংখ্যানই বটে। নিজের বোলিং সম্পর্কে বুমরাহ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি ভালো ছন্দে রয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স তখনই সার্থক হয়, যখন দল জেতে।’
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে মাত্র ১২৬ রান তুলেছিল ভারত। সেই প্রসঙ্গ টেনে বুমরাহ বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া অল্প রান তাড়া করছিল। তাই মাঝেমধ্যে একটা বাউন্ডারি মারলেই ওদের ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন কমে যাচ্ছিল। ফলে ওরা খুচরো রানে জোর দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের ইনিংসে সেই সুবিধা ছিল না। নিরাপদ রান কত হতে পারে, তা বুঝে উঠতে গিয়ে শুরুতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের। আর সেটাই তফাত গড়ে দেয়।’ সেই সঙ্গে বুমরাহ যোগ করেন, ‘ম্যাচটা আমরা প্রায় জিতেই ফেলেছিলাম। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে ১৪০-১৫০ রান খুব ভালো স্কোর হতে পারত। উইকেটে বল পড়ে নীচু হচ্ছিল। বড় শট নেওয়া মুশকিল হচ্ছিল। এই ধরনের উইকেটে রান তাড়া করা সবসময়ই কঠিন। তবে টার্গেট ছোট থাকায় ওরা হিসেব কষে লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে।’