শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এরিকসন সম্প্রতি ফিলিপিন্সের কোচ ছিলেন স্বল্পমেয়াদে। সম্প্রতি ইউএই’তে অনুষ্ঠিত এএফসি কাপে কোনও জয় পায়নি ফিলিপিন্স। এআইএফএফ সূত্রে বলা হয়েছে, ‘এআইএফএফের সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগাযোগ করেননি এরিকসন। তিনি এজেন্টের মাধ্যমে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এরিকসন সহ সারা বিশ্ব থেকে একাধিক কোচের বায়োডাটা জমা পড়েছে এআইএফএফ দপ্তরে। তবে জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ নিয়ে এখনই তাড়াহুড়ো করতে চান না ফেডারেশন কর্তারা। তাঁরা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন এপ্রিলের মাঝামাঝি।
এআইএফএফের এক কর্তা বলছেন, ‘এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের পারফরম্যান্স বেশ ভালো। বিশেষ করে তাইল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারানোর পর দেশীয় ফুটবলকে অন্য মাত্রায় তুলে নিয়ে গিয়েছে সুনীল ছেত্রীরা। ফলে আইএসএলে ভালো মানের বিদেশি ফুটবলার খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ভারতের কোচের পদে বসার জন্য অনেকের চোখ ঘুরছে। তাঁরা জানে, ফুটবলের উন্নতির ব্যাপারে ভারত এখন অনেক সিরিয়স। ফলে যখনই কনস্টানটাইন পদত্যাগ করেছেন, ঠিক তারপরেই কোচেদের বায়োডাটার বন্যা বইছে ফেডারেশন দপ্তরে।’
এরিকসন ১৯৭৭ সালে ফুটবল কোচের কাজ শুরু করেন। তিনি কোচ ছিলেন মেক্সিকো ও আইভরি কোস্ট জাতীয় দলের। দশটা দেশের ক্লাবে তিনি কোচিং করিয়েছেন। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কোচ থাকার সময় এরিকসনের বেশি নাম-ডাক হয়। ২০০২ ও ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এরিকসনের কোচিংয়ে ইংল্যান্ড যথাক্রমে ব্রাজিল ও পর্তুগালের কাছে হেরে যায়। তাঁর কোচিংয়ে ইংল্যান্ড ২০০৬ সালে ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হেরে যায়।
এশিয়ান কাপে ভারতের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন এরিকসন। বিশেষ করে এএফসি এশিয়ান কাপে তাইল্যান্ডকে চূর্ণ করার পর ভারতীয় দল সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্ব দেখল ভারতীয় ফুটবলাররা ফিজিক্যালি, টেকনিক্যালি কত ভালো জায়গায় রয়েছে!’
২০০১ সালে ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার আগে জীবনের শুরুতে এরিকসনের পর্তুগিজ ও ইতালিয়ান লিগে পারফরম্যান্স খুব একটা আহামরি নয়। যে কথা বলা যায় ম্যাঞ্চেস্টার ও লেস্টার সিটিতে তাঁর কোচিং পারফরম্যান্স সম্পর্কেও।
২০১৩ সালে এশিয়ায় কোচিং করতে আসেন এরিকসন। তাঁর প্রথম ক্লাব চীনের গুয়াংঝৌ আর অ্যান্ড এফ ক্লাব। ২০১৪ সালে তিনি সাংহাই এসআইপিজি ক্লাবের কোচ হন। সেখানে তিনি সফল না হওয়ায় ২০১৬ সালে যান সেকেন্ড টায়ার ক্লাব শেনঝেংয়ে। ২০১৭ সালে তিনি চাকরি হারান ১৩ টি ম্যাচে পাঁচটিতে জয় পেয়ে। ফলে এআইএফএফ কর্তারা সবদিক খতিয়ে দেখে এরিকসনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এখন পর্যন্ত ঠিক আছে,যত বড় কোচই হন না কেন, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে কোচ নিয়োগ করা হবে।