বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
বিলবাও, ১১ ফেব্রুয়ারি: মরশুমের মাঝপথে বারবার ছন্দপতন ঘটছে বার্সেলোনার। টানা তিনটি ম্যাচে জয় না পাওয়াই তার বড় প্রমাণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণভোমরা মেসির চোটই এর অন্যতম প্রধান কারণ। মেসি স্বমহিমায় থাকলে ফেলিপে কুটিনহো-লুই সুয়ারেজদের ভয়ঙ্কর দেখায়। কিন্তু মেসিহীন বার্সেলোনাকে একার কাঁধে টেনে নিয়ে যাওয়ার ফুটবলার আর্নেস্তো ভালভার্দের সংসারে নেই। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনটি ম্যাচ খেললেও একটিতে জয়ের মুখ দেখেনি কাতালন ক্লাবটি। রবিবার ঘরের মাঠে অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের বিরুদ্ধেও গোলশূন্য ড্র করে বার্সা। উল্লেখ্য, এর আগে রিয়াল মাদ্রিদ (কোপা দেল রে) এবং ভ্যালেন্সিয়ার (লা লিগা) সঙ্গে ড্র করেছিল ভালভার্দে-ব্রিগেড। ২৩ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট পেয়ে লিগ শীর্ষেই রইল বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ ছয় পয়েন্টে পিছিয়ে।
পেশির চোটের জন্য মর্যাদার এল ক্লাসিকোয় মেসিকে প্রথম একাদশে রাখেননি বার্সেলোনা কোচ। রবিবার ম্যাচের আগেও আর্জেন্তাইন মহাতারকাটি যে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন না তা জানিয়েছেন দলের সহকারী কোচ জন আসপিয়াজু। চেষ্টার কসুর না থাকলেও মেসি তাই ছিলেন নিষ্প্রভ। বিপক্ষের প্রধান ফুটবলার ছন্দে না থাকার সুযোগ কাজে লাগায় অ্যাথলেতিক বিলবাও। ঘরের মাঠে প্রবলতর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গুটিয়ে না থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন মার্কেল সুসায়েতা-রাউল গার্সিয়ারা। বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন গোটা ম্যাচে কমপক্ষে তিনবার দক্ষতার শীর্ষে উঠে দলের পতন রোধ না করলে শূন্য হাতে ড্রেসিং-রুমে ফিরতে হত আর্তুরো ভিদাল-ইভান র্যাকিটিচদের। এর মধ্যে সেরা ১৭ মিনিটে সুসায়েতার বাঁ পায়ের শট জার্মান দুর্গপ্রহরীটি যেভাবে শূন্যে শরীর ছুঁড়ে ফিস্ট করেন তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। এর মিনিট সাতেক পরে রাউল গার্সিয়ার সিজার্স কিকও দক্ষতার সঙ্গে রুধে দেন তিনি। প্রথমার্ধে বিপক্ষের ডিফেন্সিভ থার্ডে বারবার খেই হারিয়ে ফেলেছেন মেসিরা। পাশাপাশি মিডফিল্ডাররাও ছিলেন অতি সাধারণ।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বল পজেশন বেশি থাকলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। পরিবর্ত হিসেবে কার্লেস অ্যালেনা-ওসুমানে ডেম্বেলেদের নামিয়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি। পক্ষান্তরে, পরিকল্পিত প্রতি-আক্রমণ থেকে নেওয়া উইলিয়ামসের শট বাঁচিয়ে আবার ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক টার স্টেগেন। সংযোজিত সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের ডে মার্কোসকে।