পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
গত ম্যাচে আট ব্যাটসম্যান খেলিয়েও ভারত ২২০ তাড়া করতে নেমে ১৩৯ রানেই অল-আউট হয়ে গিয়েছিল। বিরাট কোহলির অবর্তমানে রহিত শর্মা ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ‘টিম ইন্ডিয়া’র বিজয় রথ এগিয়ে চলেছে। শেষ পর্যন্ত সেই রথ কি থমকে যাবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে? পরিসংখ্যান বলছে, ভারত আজ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটাও টি-২০ ম্যাচ জিততে পারেনি। সেদিক থেকে দেখলে রহিতদের কাছে লড়াইটা তাই বেশ কঠিন। কিন্তু ইতিহাস বলছে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ‘টিম ইন্ডিয়া’ জ্বলে ওঠে। ক্রিকেট পণ্ডিতরাও মনে করছেন, মরণ-বাঁচন ম্যাচে ভারতীয় দল জেতার মরিয়া চেষ্টা করবে।
ভারতীয় দলে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। তবে রহিত শর্মার ফর্মে ফেরাটা খুবই দরকার। গত ম্যাচে ১ রান করে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন। এই ম্যাচে ৩৫ রান করলেই তিনি মার্টিন গাপটিলকে টপকে টি-২০ ফরম্যাটে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হয়ে যাবেন। ছন্দে থাকলেও শিখর ধাওয়ান দলকে নির্ভরতা জোগাতে পারেননি। তিনি দ্রুত ভুল শুধরে নিলে একাই ম্যাচ বের করে দিতে পারেন। বিজয় শঙ্করকে বসিয়ে এই ম্যাচে খেলানো হতে পারে শুভমান গিলকে। যদিও পাঞ্জাবের এই তরুণ ব্যাটসম্যানটি একদিনের সিরিজে ব্যর্থ হয়েছিলেন। মিডল অর্ডারে ভারতের বড় ভরসা ঋষভ পন্থ, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও দীনেশ কার্তিক। তবে ঋষভ দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তিনি সময় নিচ্ছেন। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি দারুণ ফর্মে থাকায় ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অনেক দুর্বলতা চোখে পড়ছে না। গত ম্যাচেও মাহি সর্বাধিক ৩৯ রান করেছিলেন। ম্যাচ উইনার হিসাবে সুনাম রয়েছে কার্তিকের। তবে তাড়াহুড়ো করে উইকেট ‘উপহার’ দেওয়ার বদনামও রয়েছে তাঁর। বিজয় শঙ্কর বাদ পড়লে পেস অলরাউন্ডার হিসাবে হার্দিক পান্ডিয়ার গুরুত্ব বাড়বে।
ভারত যদি অতিরিক্ত স্পিনার খেলাতে চায় তাহলে কোপ পড়তে পারে ক্রুনাল পান্ডিয়ার উপর। যদিও গত ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে ভালোই লড়াই করেছিলেন। ক্রুনাল বাদ পড়লে খেলবেন কুলদীপ যাদব। দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে প্রথম একাদশে থাকবেন যুজবেন্দ্র চাহাল। দুই পেসারের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গা প্রায় পাকা। তরুণ পেসার খলিল আহমেদকে নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। তাঁর জায়গায় মহম্মদ সিরাজকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। তবে সিরাজ মোটেও আন্তর্জাতিক মানের বোলার নন।
ইডেন পার্কের পিচে রান আছে। টসে জিতে আগে ব্যাট করলে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পরিসংখ্যান তাই বলছে। তবে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টিম সেইফার্টের ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতীয় বোলারদের দিশেহারা করে দিয়েছিল প্রথম ম্যাচে। এই ম্যাচেও সেইফার্টের দিকে বিশেষ নজর থাকবে। তাছাড়া কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল ও রস টেলরের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান ভারতীয় দলের যাবতীয় পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিতে পারেন।
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সকাল ১১-৩০ মিনিটে।