বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের হয়ে অনবদ্য ক্রীড়াশৈলী মেলে ধরার পর থেকেই গেম-মেকার ইডেন হ্যাজার্ডকে পাওয়ার জন্য বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তাঁর ধারণা ছিল, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পরিবর্ত হিসেবে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবেন বেলজিয়ানটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চেলসিতেই থেকে যান হ্যাজার্ড। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত ব্লুজের সঙ্গে তাঁর চুক্তি রয়েছে। এবার প্রিমিয়ার লিগেও হ্যাজার্ডের পারফরম্যান্স চোখ ধাঁধানো। ইতিমধ্যেই ১২টি গোল করে ফেলেছেন তিনি। পাশাপাশি অ্যাসিস্টের সংখ্যা দশ।
চলতি মরশুমে না পেলেও ২৭ বছর বয়সী এই তারকাটিকে পাওয়ার আশায় জল ঢেলে দেয়নি রিয়াল। তারা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে হ্যাজার্ডের সঙ্গে। বেলজিয়ান তারকাটিও চান, রিয়াল মাদ্রিদের মতো বিশ্বখ্যাত ক্লাবে নিজেকে নিংড়ে দিতে। তবে চেলসির প্রতি দায়বদ্ধতাই তাঁর দল ছাড়ার প্রধান প্রতিবন্ধকতা বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। মাস কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে হ্যাজার্ড বলেছিলেন, ‘জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছি। তাই নিজেকে আরও বৃহত্তর আঙ্গিকে দেখতে চাই। রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব। ছোটবেলা থেকেই এই ক্লাবে খেলা আমার স্বপ্ন।’ ২০১২ সালে লিলি থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন হ্যাজার্ড। এই পর্বে দু’টি প্রিমিয়ার লিগ সহ পাঁচটি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। তবে গত মরশুমে ইতালিয়ান কোচ আন্তোনি কন্তের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি খুশি করতে পারেনি হ্যাজার্ডকে। বেলজিয়ান তারকাটির মনে হয়েছিল, কোচের রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজির জন্য তাঁর স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া পেমেন্ট নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে হ্যাজার্ডের। তাঁকে ধরে রাখার ব্যাপারে ক্রমশ আত্মবিশ্বাস কমছে ব্লুজের নতুন কোচ মরিসিও সারির। ইতিমধ্যেই তিনি বলেছেন, ‘হ্যাজার্ড জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে। ওর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, চেলসিতে ওকে ধরে রাখা কঠিন।’