পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
কোহলির নেতৃত্বে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে ভারতীয় দল। কি অধিনায়কত্ব, কি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স সবেতেই নজর কাড়ছেন ‘ভিকে’। ব্যাটসম্যান হিসেবে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছেন প্রতিদিনই। গড়ছেন নিত্যনতুন নজির। বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে ইতিমধ্যে নিজের নাম পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবেও লিখে চলেছেন নিত্যনতুন ইতিহাস। অথচ মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর অনেকের মনেই সংশয় ছিল ‘রাফ এন্ড টাফ’ কোহলি আদৌ দলকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা। পুরো দলকে এক সুতোয় গেঁথে সাফল্য পাবেন কিনা, তা নিয়েও ছিল জল্পনা কল্পনা। কিন্তু বছর তিনেকের মধ্যেই যাবতীয় সংশয় ধুয়ে দিয়েছেন কোহলি। নিজের নেতৃত্বগুণে জয় করেছেন সমালোচকদের মন।
এহেন কোহলিকে দেখে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের কথা মনে পড়ছে আব্দুল কাদিরের। অধুনা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন খেলেছিলেন তিনি। তাই দল পরিচালনার ক্ষেত্রে ইমরান কিভাবে সতীর্থদের উদ্দীপ্ত করতেন, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে প্রাক্তন লেগ স্পিনারটির। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই কাদির জানিয়েছেন, কোহলিও অনেকটা ‘কিং খান’-এর মতোই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৬৩ বছর বয়সী কাদির বলেন, ‘ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি এই মুহূর্তে যে ভাবে নিজেকে মেলে ধরছে, তাতে ওকে ইমরান খানের মতোই লাগছে। ইমরানের মতো কোহলিও নিজে পারফরম্যান্স করে বাকিদের সামনে উদাহরণ তৈরি করে। তারপর সহ-খেলোয়াড়রাও তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করবে বলে আশায় থাকে। দু’জনের মধ্যে সরাসরি তুলনা না টেনেও আমি বলছি, ইমরানের মতো কোহলির মধ্যেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইমরানের মতো কোহলিও দায়িত্ব নিতে ভালবাসে। আগে নিজে কাজটা করে বাকিদেরও বাড়তি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে প্রভাবিত করে। তবে একটা জায়গায় এখনও কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে কোহলি। আর সেটা হল সতীর্থদের থেকে সেরা খেলা বের করে আনার কৌশলের ক্ষেত্রে। তার পরেও বলব, কোহলি প্রতিদিনই উন্নতি করছে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে।’