বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দু’দিন আগে ব্যবহৃত উইকেটে শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে শুরু করেন নবাগত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্ট। উইকেটের চার ধারে স্ট্রোক নিয়ে তিনি রানের গতি বাড়াতে থাকেন। উল্টোদিকে একদিনের সিরিজে ফর্মে না থাকা কিউয়ি ওপেনার কলিন মুনরোও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন (২০ বলে ৩৪ রান)। বুধবার ওয়েলিংটনে যেভাবে চালিয়ে খেলে ধুন্ধুমার ব্যাটিং উপহার দিলেন সেইফার্ট তা অনিবার্যভাবে মনে করিয়ে দিল নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাকালামের স্মৃতি। মাত্র ৪৩ বলে ৮৪ রান করে আউট হন সেইফার্ট। তবে তার আগেই তিনি নিউজিল্যান্ডের স্কোরিং রেট ওভারপিছু ১০এর ওপরে নিয়ে গিয়েছেন। তবে এরকম ঝোড়ো ইনিংস খেলতে গিয়ে তিনি কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও পান। ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেন এমএস ধোনি। আবার সেইফার্টের স্কোর যখন ৭১ তখন আউটফিল্ডে দীনেশ কার্তিক একটি লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন। শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে উইকেটের চারদিকে স্ট্রোক নিয়েছেন সেইফার্ট। তাঁর সুইচ হিট এবং রিভার্স সুইপ ছিলল দেখার মতো। এবার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করার সুবাদে সেইফার্ট নিউজিল্যান্ডের টি-২০ দলে সুযোগ পান আহত মার্টিন গাপটিলের জায়গায়। মূলত সেইফার্টের ব্যাটের দাপটেই নিউজিল্যান্ড তারপরেই নিউজিল্যান্ড ওভার পিছু প্রায় ১১ রানের টার্গেট খাড়া করে তোলে (২১৯-৬)। ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে নেন ৪৭ রান। খলিল আহমেদের বোলিং গড় ৪-০-৪৮-১। হার্দিক পান্ডিয়া ৪ ওভারে ৫১ রান উপহার দিয়ে ২টি উইকেট পান। তার ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া কিছুটা ভদ্রস্থ বোলিং করে ৪ ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট তুলে নেন। কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩৪ রানে আউট হন চাহালের বলে। নতুন পেসার স্কট কুগেলেজিন মাত্র ৭ বলে ২০ রান তুলে অপরাজিত থেকে যান।
জবাবে দুই ভারতীয় ওপেনার প্রারম্ভিক জুটিতে মাত্র ১৮ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন। টিম সাউদির বলে রহিত শর্মা তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন। যা অনেকটা ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করেন লকি ফার্গুসন। অপর ওপেনার শিখর ধাওয়ান ভালোই স্ট্রোক নিচ্ছিলেন। কিন্তু লকি ফার্গুসনের একটি ১৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ইয়র্কার শিখরের স্টাম্প ছিটকে দেয়। ভারতীয়দের হয়ে অভিজ্ঞ এমএস ধোনি ৩১ বলে ৩৯ রান তুলে সর্বাধিক স্কোরার হন। এছাড়া শুভমান গিলের বদলে সুযোগ পাওয়া অলরাউন্ডার বিজয়শঙ্কর তোলেন ২৭ রান। বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কেউ দাঁড়াতে পারেননি। হার্দিক পান্ডিয়া ৪ রানে আউট হন। তবে কিছুটা লড়ার চেষ্টা করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া (২০)। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার টিম সাউদি’র (৪-০-১৭-৩)। তারপরেই মিচেল স্যান্টনার ভালো বল করেন (৪-০-২৪-২)। স্পিনার ইশ সোধিও ২৬ রানে ২টি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুটি উইকেট সংগ্রহ করেন।
এর আগে ২০১০ সালে ভারত টি-২০ ম্যাচে ৪৯ রানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তাকে ছাপিয়ে গিয়ে এটাই টি-২০ ফর্মাটে ভারতের সবচেয়ে বড় পরাজয়।