শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
কালনা শহর সংলগ্ন হাটকালনা পঞ্চায়েতের গোয়াড়া গ্রাম। গ্রামের মাঝে ২০০৬ সালে বারোয়ারি দুর্গাপুজো শুরু হয়। শুরুর বছরে পুরুষরা সাহায্য করলেও পরবর্তীতে গ্রামের মহিলারা নিজেদের কাঁধে দায়িত্বভার নেন। দীর্ঘ ১৮বছর গ্রামের একটি জায়গায় পুজো হলেও এবার গ্রামের কর্মকারপাড়ায় এক ব্যক্তির দান করা জায়গায় স্থায়ী মন্দির গড়ে উঠেছে। মন্দির গড়ে তুলতে মহিলাদের বড় অংশ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পাওয়া কয়েক মাসের টাকা দান করেন। পাশে পান এলাকার ব্যবসায়ী সুব্রত পাল, ননীগোপাল সিং থেকে বিধায়ককে। তাঁরা যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্য করেন। এবার সেই স্থায়ী মন্দিরে দুর্গাপুজো হবে। পুজোর বাজেট লক্ষাধিক টাকা। ষষ্ঠীর দিন থেকে নবমী পর্যন্ত মণ্ডপতলায় থাকবে নাচ, গান, আবৃত্তি, অঙ্কন সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অষ্টমীর দিন এলাকার মানুষের জন্য থাকে ভূরিভোজের আয়োজন। মেনুতে থাকবে পোলাও, আলুর দম, পায়েস সহ নানা পদ। পুজো কমিটির সম্পাদক স্মৃতি দাস, কোষাধ্যক্ষ কনিকা মণ্ডল বলেন, পুজোয় মণ্ডপে সরকারি নানা প্রকল্প সহ সচেতনতার ব্যানার, ফেস্টুন ও আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। রীতি মেনে কালনায় ভাগীরথী নদীতে প্রতিমা বিসর্জনে মহিলাদের শোভাযাত্রা ও মণ্ডপে মহিলাদের সিঁদুরখেলা চোখে পড়ার মতো।
পুজো কমিটির সভাপতি কনিকা অধিকারী বলেন, কমিটির মহিলারা অধিকাংশই গৃহবধূ। কয়েকজন গেঞ্জি কারখানায় কাজ করেন। অনেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে জামা-কাপড় বিক্রি করেন। মহিলাদের সকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান।
পিঙ্কি, আলো, জ্যোতি, সুমিত্রা, মিঠু, তুলসী, মঞ্জু প্রণতি সহ কয়েকজন গৃহবধূ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পাওয়া কয়েক মাসের টাকা মন্দির তৈরির জন্য দান করেছেন। গ্রামের অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। মন্দির নির্মাণে জায়গা দান করেছেন প্রয়াত রতন দাসের পরিবার। মহিলাদের আন্তরিকতা ও ঐক্যবদ্ধতাই আমাদের সম্পদ। -নিজস্ব চিত্র