পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তীব্র দাবদাহে ৪০-৪৫ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে শিল্পাঞ্চলে। সূর্য যেন শহরের বুকে ঢুকে পড়েছে। এমনই মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। কয়েকবার ঝড়বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করছে জনতা। গরমের দাপাদাপি থেকে রক্ষা পেতেই বৃষ্টির আশায় এদিন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনিষ্ক এলাকার বহু মহিলা ও পুরুষ একত্রিত হয়ে সেজেগুজে একটি পুরুষ ব্যাঙ নিয়ে এলাকার শিবমন্দিরে হাজির হন। কনেপক্ষ সেকেন্ডারি এলাকা থেকে তত্ত্ব সাজিয়ে একটি স্ত্রী ব্যাঙকে নিয়ে বিয়ে দিতে আসেন ওই মন্দিরে। মন্দির চত্বরে সানাই বাজিয়ে মন্ত্র পাঠ করে শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সিঁদুর দান ইত্যাদি সমস্ত রীতি মেনেই ব্যাঙের দেন পুরোহিত। শুধু তাই নয়, মন্দিরের বাইরে চেয়ার টেবিল বসিয়ে এলাহি ভূরিভোজেরও ব্যবস্থা করা হয়। বিয়ের উদ্যোক্তা কনেপক্ষের বনি সাহা ও বরপক্ষের বুলু মসান ও অনিমা মিত্র বলেন, ছোটবেলায় আমরা দেখেছি বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হতো। এখনও হয়। আমরা এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে বরুণদেবকে তুষ্ট করতেই ব্যাঙের বিয়ে দিলাম। বরুণ দেব প্রসন্ন হলেই বৃষ্টি হবে।
বিয়ের উদ্যোক্তা তথা এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার পল্লবরঞ্জন নাগ বলেন, ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয় এই প্রথা প্রচলিত আছে আদিকাল থেকে। তাই কুসংস্কার হলেও এই তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে আর কোনও উপায় না পেয়ে বিজ্ঞান নয়, আবেগকে প্রাধান্য দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। টাউনশিপের শিক্ষিত সমাজের মানুষ দুর্গাপুরবাসীকে স্বস্তি দিতেই এদিন ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন।-নিজস্ব চিত্র