বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বনদপ্তরের বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত ডিভিশনের আধিকারিক অঞ্জন গুহ বলেন, ডিভিশন অফিসের ঠিক সামনেই একটি পূর্ণাঙ্গ পার্ক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে শিশুদের খেলার উপযোগী নানা সামগ্রী থেকে শুরু দর্শনীয় মন্দির, ফুলের বাগান, সেলফি জোন সহ মনোরঞ্জনের জন্য নানা উপকরণে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পার্কের একটি ব্লকে প্রজাপতি উদ্যান তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রজাপতির লার্ভা সংরক্ষণ করা হবে। তা থেকে নানা পর্যায় পেরিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রজাপতি তৈরি হওয়া পর্যন্ত লালন পালন করা হবে। তারপর তা নবদম্পতিদের হাত দিয়ে আকাশে ওড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিষ্ণুপুর শহর ছাড়িয়ে দক্ষিণ রেল ফটক পেরিয়ে তালডাংরা ও মুকুটমণিপুর যাওয়ার রাস্তায় ঘুরলেই সত্যজিত সরণির শেষ প্রান্তে রয়েছে বনদপ্তরের পাঞ্চেত ডিভিশনের অফিস। জঙ্গলঘেরা রাস্তার ডান দিকে রয়েছে ফরেস্ট রেস্ট বাংলো। বামদিকে রয়েছে ডিভিশন অফিস। ওই অফিসে ঢোকার আগেই বাম দিকে তাকালেই চোখে পড়বে ‘সবুজপ্রিয়া’ পার্ক। পার্কের বাইরে থেকেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহাসিক শ্যামরাইয়ের আদলে একটি মন্দির চোখে পড়বে। অপূর্ব সুন্দর ওই মন্দির দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। সেখানেই সবুজ ঘাসের গালিচায় বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে সেলফি জোন। শালগাছের ছায়ার প্রশান্তির মধ্যেই পাখিদের বাসার জন্য টাঙানো হয়েছে মাটির হাঁড়ি। এছাড়াও পার্কে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও পাতাবাহার গাছ লাগানো হয়েছে। শিশুদের খেলার সরঞ্জামও বসানো হয়েছে। তারই মধ্যে একটি ব্লকে প্রজাপতি উদ্যান তৈরি করা হয়েছে। স্বল্প জায়গার মধ্যে নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। বর্ষার পর প্রজাপতির লার্ভা সংগ্রহ করে সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষণ করা হবে। ওই উদ্যানেই প্রজাপতির নানা দশা পরিলক্ষিত হবে। পুজোর মরশুমে পূর্ণাঙ্গ প্রজাপতির রূপ ধারণ করার পর নির্দিষ্ট দিনে তা ওড়ানো হবে। বিষ্ণুপুর শহরের বৈলাপাড়ার বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী রিমঝিম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রজাপতি মানেই নারী-পুরুষের বন্ধনের বার্তা। সেই বন্ধনকে অটুট করতে নবদম্পতিদের প্রজাপতি ওড়ানোর চেয়ে আর কী শুভ মূহূর্ত হতে পারে। বনদপ্তরের অভিনব ভাবনাকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। নিজস্ব চিত্র