রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কুড়মিদের এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদিবাসীদের ২১টি সংগঠনের মিলিত ফোরাম ইউনাইটেড ফোরাম অব অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন বাংলা বন্ধ ডাকে। এদিন সকাল ৬টা থেকেই বন্ধ সমর্থকরা পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা অবরোধ শুরু করে। কোথাও রাস্তায় গাছের ডাল ফেলে, কোথাও ঢোল ধামসা নিয়ে, আবার কোথাও তির-ধনুক সহ বিভিন্ন চিরাচরিত অস্ত্র নিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুরুলিয়া জেলার সাঁতুড়ির বেনাগড়িয়া, নিতুড়িয়ার হরিডি, হুড়ার লালপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। কাশীপুরের গামারকুড়ি, পুরুলিয়া শহর সংলগ্ন দামদা চক, বাঘমুণ্ডির কালীমাটি মোড়, বান্দোয়ানের বান্দোয়ান চক সহ জেলার প্রায় ১৫টিরও বেশি জায়গায় বন্ধ সমর্থকরা অবরোধ করেন।
এদিন পুরুলিয়া শহরাঞ্চলে বন্ধের তেমন প্রভাব না থাকলেও গ্রামাঞ্চল এলাকায় মিশ্র প্রভাব দেখা যায়। বেসরকারি বাস জেলায় পথে নামেনি। বিভিন্ন রুটের যান চলাচল ব্যাহত হয়। সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
আদিবাসী সংগঠনের নেতা বিপিন বাস্কে বলেন, সিআরআই রিপোর্ট সংশোধনীর যে দাবি কুড়মিরা করছে, তা যাতে রাজ্য সরকার না করে, তার দাবিতেই এই বন্ধ। অআদিবাসীরা এসটি হয়ে সুযোগ সুবিধা পেতে চাইছে, এতে প্রকৃত আদিবাসীরা বঞ্চিত হবে। আদিবাসীদের ডাকা বন্ধে এদিন বাঁকুড়ার গ্রামাঞ্চলে ভালো সাড়া পড়ে। রাস্তায় খুব কম সংখ্যক যানবাহন চলতে দেখা গিয়েছে। যেসব এলাকায় রাস্তা অবরোধ করা হয়। সেখানে দোকানপাটও কার্যত বন্ধ ছিল। শহরাঞ্চলে যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করলেও বাজার হাট খোলা ছিল। শহরের মধ্যে ছোট যান চলাচল করতে দেখা যায়। তবে জঙ্গলমহল সহ অন্যান্য ব্লক এলাকায় বন্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এদিন সারেঙ্গা, রাইপুর, সিমলাপাল, খাতড়া, রানিবাঁধ ছাড়াও তালডাংরা, বিষ্ণুপুর, জয়পুর, কোতুলপুর, সোনামুখী সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রধান রাস্তার মোড়ে আদিবাসীরা জমায়েত করেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে অনেক জায়গায় মিছিলও করা হয়। রাস্তা অবরোধের জেরে বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীদের পক্ষে বিপ্লব সোরেন বলেন, অ-আদিবাসীদের আদিবাসী তকমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার প্রতিবাদে ২৫টি আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চের ডাকা বাংলা বন্ধ সফল করতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আরামবাগেও বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়ে। এদিন সকালে আরামবাগের পল্লিশ্রী মোড় ও গোঘাটের বেঙ্গাই সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তীব্র গরমে বাসের মধ্যে যাত্রীরা আটকে পড়েন। বয়স্ক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। গাড়ি আটকানো নিয়ে বাস যাত্রীদের সঙ্গে সংগঠনের সদস্যদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ শুরু হয়। বাসুদেব মোড় থেকে পল্লিশ্রী মোড় পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়।