কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকালে প্রথমে বোলপুর পুরসভার কর্মী তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বোলপুরে এএনএম এগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড ও নীড় ডেভেলপার নামে দুটি কোম্পানি রয়েছে। যৌথভাবে সেগুলির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বিদ্যুৎবরণ গায়েন ও অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তদন্তে সিবিআই জেনেছে, এএনএম এগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেডের ২০ কোটি টাকার জমির সম্পত্তি রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনা হয়েছে। ওইসব জমিগুলি মূলত বোলপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে কেনা হয়েছিল। তা গোরু পাচারের লভ্যাংশের টাকায় কেনা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। মূলত কালো টাকাকে সাদা করতে বিঘার পর বিঘা জমি কেনা হয় বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। সেইসব তথ্য তারা সংগ্রহ করেছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন টাকা কোন খাতে যাবে তা নির্দেশ দিতেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর সেই টাকা সায়গল হোসেন অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির হাতে তুলে দিতেন। পরে কোম্পানির খরচের নামে সেই জমি মণীশ কোঠারির তত্ত্বাবধানে নগদ টাকায় কেনা হতো। সেই জমি এডিএসআর অফিসে রেকর্ড করতেন বোলপুরের আইনজীবী সৌমিত্র ঘোষ। তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। এই মর্মে সৌমিত্র ঘোষকেও এদিন দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা।
এমনকী সেইসময় নগদ ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে বোলপুরের একটি দোকান থেকে সায়গল হোসেন সোনার গয়না কিনেছিলেন বলে সিবিআই তদন্তে জানতে পেরেছে। এছাড়া সায়গল হোসেনের মায়ের নামে আরও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। ওই অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের লেনদেনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের তলব করা হয়। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই আধিকারিকরা এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কলকাতা ফিরে গিয়েছেন। তবে খুব শীঘ্রই ফের বোলপুর এসে তদন্ত চালাবেন বলে জানা গিয়েছে। গোরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়ির দিকে যাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য।-নিজস্ব চিত্র