বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মন্দিরের পাশে দাঁড়িয়ে কামিনীকান্তি বিশ্বাস বলেন, ব্যাঙ্কের চাকরিতে যোগ দেওয়ার তিনদিন পরেই বাবা কালীচরণ বিশ্বাস মারা যান। সেটা ১৯৮১ সাল। বাবার হাড়ভাঙা পরিশ্রমের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলাম। মা সরোজিনী বিশ্বাস ২০০৯ সালে মারা যান। তাঁর আত্মত্যাগও আমাকে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করেছিল। তাঁরা ঈশ্বর ছাড়া আর কী হতে পারে! ভগবানকে চোখে দেখা যায় না। ভগবান রূপে মা-বাবা বাড়িতে থাকেন। তাঁদের খোঁজখবর না রেখে অনেকেই মন্দিরে যান। তাতে পুণ্য হয় না। বাবা-মায়ের সেবা করলেই সবকিছু পাওয়া যায়। কামিনীবাবুর এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত। একজন নামী আইটি সংস্থায় কাজ করেন। অন্যজন কর্পোরেট সংস্থায় রয়েছেন। তাঁরাও বাবার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যাঙ্ককর্মী বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই শেষ বয়সে বাবা-মায়ের গুরুত্ব থাকে না। তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দায় সারছেন। অনেকে আবার তাঁদের খোঁজখবর রাখেন না। তাঁদের উদ্দেশেও এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এলাকার অনেকেই এই মন্দিরে আসেন। এক দোল পূর্ণিমার দিনে অভিনব এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল। মন্দিরে বাবা-মায়ের মূর্তি দেখে অনেকেই ওই ব্যাঙ্ককর্মীর তারিফ করেছেন। জীবিত অবস্থাতেও পিতা-মাতাকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে সেবা করা উচিত বলে ওই ব্যাঙ্ককর্মী মনে করেন। অনেকেই বলছেন, সবার বাড়িতে এমন ছেলে থাকলে হয়তো এত বৃদ্ধাশ্রম তৈরি হতো না। গুনগুনিয়ে কোনও বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে বলতে হতো না, ‘স্বামী-স্ত্রী আর অ্যালসেসিয়ান, জায়গা বড় কম। আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম’। বাবা-মায়ের মূর্তিতে পুজো করছেন কামিনীকান্তি বিশ্বাস।-নিজস্ব চিত্র