বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যাত্রীরা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় হাওড়া জয়নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্বাধীনপুর স্টেশনের ১নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায়। সেইসময় মাঝের মেন লাইন দিয়ে আপ শতাব্দী এক্সপ্রেস থ্রু পাশ করার কথা স্টেশনের মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছিল। তারজন্য এই ট্রেনের সবুজ সিগন্যালও দেওয়া হয়। তখনই আপ জয়নগরের চালক ট্রেনটি চালাতে শুরু করেন। এই ট্রেনটি স্বাধীনপুর স্টেশন ছাড়িয়ে মাঝের লাইনেই ওঠার কথা।
নিত্যযাত্রী তথা রামপুরহাট এসডিও অফিসের স্টাফ নৌমান বাসার বলেন, আপ জয়নগর ধরে রামপুরহাট থেকে নলহাটি যাচ্ছিলাম। ইঞ্জিনের পরের কামরায় ছিলাম। স্বাধীনপুর স্টেশনে যথারীতি জয়নগর দাঁড়িয়ে পড়ে। পাশের লাইন দিয়ে তখন শতাব্দী এক্সপ্রেস পাশ করার কথা ঘোষণা চলছিল। সেইমতো তার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়। জয়নগরের চালক সেটি তাঁর সিগন্যাল ভেবে ট্রেনটি চালু করে দেন।
নিত্যযাত্রীরা বলেন, শতাব্দী পাশ না করিয়ে জয়নগর ছাড়ে না। সেটাই আমরা দেখে আসছি। তাই অনেকে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নেমে ঘোরাফেরা করতে থাকেন। কিন্তু সিগন্যাল ছাড়াই জয়নগর এক্সপ্রেস চলতে শুরু করে। প্ল্যাটফর্মে নেমে থাকা যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে চেপে পড়েন। কিন্তু আপ লাইন দিয়ে শতাব্দী পাশ হবে, দুর্ঘটনা আশঙ্কা বুঝতে পেরে যাত্রীরা চিৎকার করতে করেন। তা শুনে চালক ট্রেন থামাতে বাধ্য হয়। তখনই দ্রুতগতিতে পাশ দিয়ে চলে যায় শতাব্দী এক্সপ্রেস। এরপরই চালককে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। চালক নিজের ভুল স্বীকার করে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
বাসার সাহেব বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধান। ফের বালেশ্বরের মতো দুঘর্টনা ঘটতে পারত। ট্রেনে থাকা প্রায় হাজারখানেক যাত্রীর জীবন বিপন্ন হতে পারত। যাত্রীদের অনেকেই চালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চালক ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয় আপ জয়নগর এক্সপ্রেস।
স্বাধীনপুর স্টেশন ম্যানেজার এন টুডু বলেন, জয়নগর এক্সপ্রেসের সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। আসলে মেন ও লুপ লাইনের সিগন্যাল একই জায়গায় রয়েছে। মেন লাইনের সিগন্যাল একটি উঁচুতে ও লুপ লাইনের সিগন্যাল নীচে রয়েছে। জয়নগরের চালক ভুলবশত মেন লাইনের সিগন্যাল গ্রিন দেখে ট্রেন চালাতে শুরু করেন। তাতেই এই বিপত্তি। এটা চালকের দেখার ভুল। যাত্রীরা চিৎকার করে জয়নগর এক্সপ্রেস না থামালে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। গার্ডও ব্রেক কষে দিয়েছিলেন। চালক নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন।