পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্বস্থলী সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ২০১৫ সালে আমচাষিদের একাংশকে নিয়ে এলাকায় আম উৎসব ও মেলার সূচনা হয়েছিল। করোনা আবহে উৎসব দু’ বছর বন্ধ ছিল। গত বছর সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অসুস্থ থাকায় উৎসব হয়নি। তবে এবছর আম উৎসব হচ্ছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী রবিবার পূর্বস্থলী রেল স্টেশন সংলগ্ন কমিউনিটি হলে আম উৎসবের সূচনা হবে। আমরা এলাকার চারজন আমচাষিকে বিশেষ সম্মান জানাব। তাছাড়া আমের প্রদর্শনী হবে, আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য থাকবে আমপোড়ার শরবৎ, পাকা আম। এছাড়া আমের বিভিন্ন স্বাদের দই, আচার, আমের সন্দেশ প্রভৃতি থাকছে।
জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলীতে আম উৎসব ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। উৎসবে দেদার আম খাওয়ানো একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়। উত্তরবঙ্গের মালদায় সরকারি উদ্যোগে আম উৎসব হয়। এলাকার আমের স্বাদ চেনাতেই এই উৎসবে সূচনা করে সাংস্কৃতিক মঞ্চ। তাছাড়া ২০১৬ সালে কলকাতায় রাজ্য সরকারের আম উৎসবে পূর্বস্থলীর ‘হিমসাগর আম’ সেরা বিবেচিত হয়। এমনকী ২০১৭ সালে বীরভূমের আম উৎসবে পূর্বস্থলীর আম্রপালি, ল্যাংড়া, ধোপানি আম পুরস্কৃত হয়। পূর্বস্থলীর প্রবীণ আমচাষি নারায়ণ দাস বলেন, এবছর আমের যে পরিমানে ফলন হয়েছে, গত তিরিশ বছরে এত ভালো ফলন হয়নি। ফলে এবার পাকা আমের দাম সকলের সাধ্যের মধ্যে। আরও জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলীতে হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, ফজলি, গোলাপখাস, মিঠুয়া, আম্রপালি ছাড়াও প্রায় তিরিশ প্রজাতির আম চাষ হয়। বিকল্প চাষ হিসাবে কৃষিজমিতে আমের বাগান করা হয়েছে। আম চাষে লাভবান হয়েছেন চাষিরা। সাংস্কৃতিক মঞ্চের সহ সভাপতি ক্ষীতিশ বিশ্বাস বলেন, পাকা আম ৪ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগানের অবিক্রিত আম ফেলে দিতে হচ্ছে। আগামীদিনে আমের এত ফলন হবে কিনা সন্দেহ। তার জন্যেই আমাদের আম উৎসব। নিজস্ব চিত্র