বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দীপঙ্কর জানান, ছোটবেলা থেকে পথটা খুব সহজ ছিল না। বাবা, মা ও দাদা অনেক কষ্ট করে আমাকে বড় করেছেন। তাঁদের অবদান ভোলার নয়।
তাঁরা পাশে না দাঁড়ালে স্বপ্নপূরণ সম্ভবই হতো না। লালগড় এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এলাকায় শান্তি ফিরেছে। তিনি আরও বলেন, চাই জেলার ছেলেমেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হোক। লক্ষ্য স্থির থাকলেই সাফল্য আসবেই।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপঙ্করের বাবা প্রকাশচন্দ্র কুণ্ডু এমএসকে সেন্টারের শিক্ষক। মা শোভা কুণ্ডু গৃহিণী। মূলত টিউশনির উপর ভিত্তি করেই তাঁদের সংসার চলত। ছোট থেকে অভাবকে সঙ্গী করেই জীবন কেটেছে দীপঙ্করের। ২০১৩ সালে তিনি কাঁটাপাহাড়ী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর ডিগ্রি অর্জনের জন্য মেদিনীপুর কলেজে ভর্তি হন। এরপর ২০২০ সাল থেকে তিনি মুম্বই আইআইটিতে পড়াশোনা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী রিসার্চ সেন্টারে জুনিয়র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট পদে কর্মরত। অ্যাটমিক এনার্জির উপর কাজ করছেন। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের পর থেকে লালগড় আন্দোলনের সূচনা হয়। একসময় লালগড়ের নেতাইয়ে গণহত্যার ঘটনাও ঘটে। লালগড় আন্দোলন সূচনার সময় দীপঙ্কর ক্লাস সেভেনের ছাত্র। জানা গিয়েছে, সেই সময় প্রায় এক বছর স্কুলে তিনি যেতে পারেননি। পড়াশোনা করা তো দূরের কথা। স্বাভাবিক ছন্দে জীবন কাটানোই ছিল চ্যালেঞ্জ। তবে বর্তমানে ফিরেছে শান্তি। সেতু , উন্নতমানের স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল তৈরি হয়েছে লালগড়ে। জানা গিয়েছে, সম্ভবত জেলা থেকে একমাত্র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট দীপঙ্কর। তাঁর দাদা শুভঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ভাই অনেক পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। যতটা পেরেছি ভাইয়ের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। বাবা, মা অনেক কষ্ট করেছেন। তাঁদের জন্যই এসব সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঋণ করে পড়াশোনা করতে হয়েছে। ভাইয়ের সাফল্যে গ্রামের সকলেই খুশি। প্রকাশচন্দ্র বলেন, ছেলের সাফল্যে খুশি। খুব কষ্ট করে বড় হয়েছে। নিজস্ব চিত্র