বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিজেপির যুবনেতা বিকাশ দলবল নিয়ে ননগর এলাকায় খাদানের অফিসে হানা দেন। বিধায়কের নাম করে লক্ষাধিক টাকা দাবি করেন। না দিলে বিধায়ককে দিয়ে দিল্লিতে দরবার করে খাদান বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। তাতেও টাকা না দেওয়ায় ম্যানেজারকে মারধর করা হয়। অফিসে ও দু’টি জেসিবি মেশিনে ভাঙচুর চালানো হয়। শেষে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ১২ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। খাদান কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্দাস থানার পুলিস বুধবার রাতে কোতুলপুর চৌরাস্তা থেকে বিকাশকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চারদিন পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক বলেন, ইন্দাস ও কোতুলপুর দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে না পেরে দলীয় নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি তোলাবাজদের দল। ওদের বড় বড় নেতারা তোলাবাজির সঙ্গে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে যুক্ত। সেটা বালি খাদানে অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দাস ও কোতুলপুরের সীমানা দিয়ে দ্বারকেশ্বর নদ গিয়েছে। ননগর এলাকায় একটি বৈধ বালিখাদান রয়েছে। খাদানটি ইন্দাস থানা এলাকায় অবস্থিত। ওই খাদানে তোলা আদায়ের জন্য কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ তথা দলের যুবমোর্চার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক বিকাশ দলবল নিয়ে হানা দেন। বিধায়কের নাম করে লক্ষাধিক টাকা দাবি করেন। অফিসে ভাঙচুর করা হয়। ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মীদের মারধর করা হয়। লুটপাট চালানো হয়। কাছে টাকা নেই বলে জানালেও ম্যানেজারকে রেহাই দেওয়া হয়নি। কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মানিব্যাগ থাকা ১২ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় ভিলেনের মতো লুটপাট চালানো হয়। ওই ঘটনায় খাদান এলাকায় রীতিমতো ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। খাদান কর্তৃপক্ষ ওইদিন কাউকে কিছু না জানালেও বুধবার বিকেলে তারা ইন্দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে বিকাশকে ওইদিন রাতেই গ্রেপ্তার করে। খাদান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈধভাবে ব্যবসা করতে এসে এভাবে হুমকি ও হামলার মুখে পড়তে হবে, তা তারা ভাবতে পারেনি। গোটা বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়েছে। ধৃত বিকাশ ঘড়ুই।