বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বোনের নাম ঝুমুর ঢালি আর দাদা যুবরাজ ঢালি। মায়াপুর-বামুনপুকুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তারণপুর রোডে তাঁদের বাড়ি। ঝুমুর নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। স্কুলে ঝুমুরই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। দাদা যুবরাজ নবদ্বীপ আরসিবি সারস্বত মন্দিরের ছাত্র। ওঁদের বাবা সুনীলচন্দ্র ঢালির এক সময়ে নিজস্ব ব্যবসা ছিল। করোনার ধাক্কায় সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এখন পরের দোকানে কাজ করেন। মা কুসুম ঢালি গৃহবধূ। বর্তমানে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। দিদি সংসার চালাতে বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করেন।
ভাইবোনে প্রতিদিন মায়াপুর হুলোর ঘাট থেকে ভাগীরথী পেরিয়ে নবদ্বীপে আসতেন। নবদ্বীপ ফেরিঘাটে একটি গ্যারেজে সাইকেল রাখতেন। সেই সাইকেল নিয়ে যে যাঁর স্কুলে যাওয়া এবং একই পথে বাড়ি ফেরা। নবদ্বীপে দুজনে একই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তেন।
ঝুমুর পেয়েছেন ৪৫২ নম্বর অর্থাৎ ৯০ শতাংশ আর যুবরাজের প্রাপ্ত নম্বর ৩৮৩ অর্থাৎ ৭৬ শতাংশ।
ঝুমুর বলেন, আরও ভালো নম্বর আশা করেছিলাম। তবুও এই ফলাফলের জন্য আমার মা, বাবা, দিদি যেমন সহযোগিতা করেছেন, তেমনি স্কুলের এবং গৃহশিক্ষকদের অবদান রয়েছে। আগামী দিন ভালো ভাবে পড়াশুনা করে শিক্ষকতা করতে চাই।
মা কুসুম ঢালি বলেন, ওরা দুজনই পড়াশোনায় ভালো। আগে আমাদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো ছিল। সে সব বলতে গেলে কান্না এসে যাবে। আমি এখন অসুস্থ। আমার স্বামীর রোজগারে সংসার চলে ঠিকই কিন্তু আয় আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় ওদের ভবিষ্যৎ কী হবে জানি না। ওদের পড়াশোনার জন্য অনেক টাকা দরকার। এগারো বারোতে যখন পড়েছে স্কুল থেকে স্কলারশিপ, মোবাইল ইত্যাদি পেয়েছিল বলে সুবিধা হয়েছিল।
বাবা সুনীলচন্দ্র ঢালি বলেন, একটা সময় খাতা-পেন ইত্যাদির কৃষ্ণনগরে দোকান ছিল। কিন্তু লকডাউনে সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মায়াপুরে একটা দোকানে কাজ করি। সেই সামান্য রোজগার। তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই। কলেজে পড়াশোনার সময় ছেলেমেয়েরা যদি কিছু আর্থিক সহায়তা পায় তা হলে সুবিধা হবে।