বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত বোলপুর থানার রায়পুর-সুপুর পঞ্চায়েতের অধীন এলাকায় অজয় নদের বুক থেকে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ভোর চারটে থেকে দুপুর একটা অবধি বেলচা, কোদালে করে অজয় নদ থেকে কয়েকশ ট্রাক্টরে বালি চুরি হচ্ছে। সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে পরবর্তীতে মোটা টাকার বিনিময়ে পাচার হচ্ছে। কাদের মদতে এই অবৈধ কারবার চলছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রকাশ্য দিনের আলোয় এইভাবে বালিচুরি কেন চোখে পড়ছে না পুলিস বা প্রশাসনের তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের সংযোগকারী অবন সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করলেই দুই দিকে চোখে পড়বে এই অবৈধ কারবার। নদীর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রত্যেক ট্রাক্টরে বালি লোড করছে তিন থেকে চারজন। কিন্তু তারা সকলেই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। কে এই বালি অবৈধভাবে উত্তোলন করছে, কীভাবেই বা পরবর্তীতে বিক্রি হচ্ছে, সেই বিষয়ে এই মজুররা কিছুই জানেন না বলে দাবি। রায়পুর সুপুর পঞ্চায়েতের অজয় নদ সংলগ্ন ঘেরোপাড়া, রজতপুর সহ আশেপাশের প্রত্যেক গ্রামের রাস্তার ধারে ও মাঠের মধ্যে মজুত করে রাখা হয়েছে এই অবৈধ বালি।
নদী থেকে যাঁরা বালি তুলছেন তাঁরা জানান, তাঁদের কাছে কোনও বৈধ চালান নেই। যার যেমন খুশি, সেভাবে বালি তুলতে পারে। তবে ট্রাক্টরে কোদাল বেলচা দিয়েই বালি তুলতে হবে। মাঝেমধ্যে পুলিস অভিযান চালায়। তখন সবকিছু ফেলে দিয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। কখনও ট্রাক্টর ফেলেও পালিয়ে যান তাঁরা। মালিকরা নিজেদের মতো করে পরে ঠিক করে নেন। তারপর আবার শুরু হয় নদী থেকে বালি তোলা। বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, এদিন ব্লক ও বিএলএলআরও দপ্তরের তরফে রুটিন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বালি পাচার রুখতে প্রশাসন ও পুলিস একযোগে অভিযান চালায়। সেতুর নীচে থেকে বালি তোলা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। নিজস্ব চিত্র