কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রত্যাশার চেয়ে খানিকটা কম হলেও ৪৫১ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছেন নিলয়। নিলয় পেয়েছেন বাংলায় ৮১, ইংরাজিতে ৮১, অঙ্কে ৯১, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৬, জীববিদ্যায় ৯০ এবং রসায়নে ৯৩। পড়াশোনার পাশাপাশি গান শুনতে এবং ক্রিকেট খেলা দেখতে ও খেলতে ভালোবাসেন তিনি। নিলয় বলেন, কাজের জন্য মা’কে দিনের বেশিরভাগ সময় নার্সিংহোমে কাটাতে হয়। বাড়িতে একা থেকেই পড়াশোনা করেছি। আমার পড়াশোনার জন্য মা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন। উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য মাসের বেশিরভাগ দিন দুই সিফটে কাজ করেছেন। মায়ের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব হয়েছে। তবে আরও ১৫-২০ নম্বর বেশি আশা করেছিলাম। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাই। ছেলের লক্ষ্য পূরণের জন্য মা তার সোনার গহনা বন্ধক রেখে কলকাতার একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারে ছেলেকে ভর্তি করেছেন। প্রশিক্ষণ শেষ করে নিট পরীক্ষায় বসবে নিলয়। নিলয়ের মা অনিন্দিতা পাল বলেন, ছেলের এক বছর দু’মাস যখন বয়স তখন আমার স্বামী জলে ডুবে মারা যান। কিছুদিনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে খালি হাতে ছেলেকে নিয়ে জিয়াগঞ্জে বাবার বাড়িতে চলে আসি। বাবার বাড়িতে তিন বছর থাকার পর চার বছরের ছেলেকে নিয়ে লালবাগে ভাড়া বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হই। নার্সিংহোম থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে দু’জনের খাওয়া-দাওয়ার খরচ কোনভাবে চলে। ছেলেকে লক্ষ্যপূরণ পর্যন্ত আমার লড়াই জারি থাকবে। তবে সরকার বা কোনও ব্যক্তি ছেলের পড়াশোনার সাহায্যে এগিয়ে এলে তাঁর উপকার হয় বলেও দাবি করেন তিনি। নিজস্ব চিত্র