পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কালীসাধক গণেশ পাগল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালি পাড়া উপজেলার পোলসাইর গ্রামে ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শিরোমনি এবং মাতা নারায়ণী দেবী উভয়েই শ্রীশ্রী নারায়ণ দেবের উপাসক ছিলেন। শ্রীশ্রী নারায়ণ ঠাকুরের আশীর্বাদে গণেশ পুজোর দিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় তাঁর নাম রাখা হয় ‘গণেশ’। তিনি শ্রী বিন্দু দাস গোসাঁইয়ের শিষ্য ছিলেন। তাঁকে কেষ্ট খ্যাপা নামেও ডাকা হয়। গণেশ পাগলের ১৯২৮ সালে মহাপ্রয়াণ ঘটে। ১৩১২ বঙ্গাব্দে গণেশ পাগলের ভক্তদের জন্য বাংলাদেশের মাদারিপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি দিঘিরপাড় এলাকায় প্রায় ৩৫০ বিঘার বেশি জমিতে গণেশ পাগল সেবাশ্রম গড়ে তোলা হয়।
প্রায় ১৩৭ বছর আগে ১৩ জন সাধু ১৩ কেজি চাল ও ১৩ টাকা নিয়ে ১৩ জ্যৈষ্ঠ রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ির দিঘিরপাড়ে ভারতের কুম্ভমেলাকে অনুসরণ করে গণেশ পাগলের মেলার আয়োজন করেন। সেই থেকে প্রতিবছর এমন সময় কদমবাড়ির দিঘিরপাড়ে গণেশ পাগল সেবাশ্রমে মেলা হয়। হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের হরিবোল, জয় পাগল ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে দুই বাংলা। প্রায় ১৩৭ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই কুম্ভমেলায় দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মেলায় আগত মানুষরা বিশ্বাস করেন, মেলায় এলে এবং গণেশ পাগলের মন্দির দর্শন করলে সকল ধরনের বিপদআপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পৌষ মাসের শেষ মঙ্গলবার গণেশ পাগলের কালীপুজো হয়। তখনও মেলা হয়। একাইহাটের বাসিন্দা নীতিশ ঘরামী, গৌরাঙ্গ গায়েন বলেন, ওপার বাংলা থেকে গণেশ পাগলের ছবি নিয়ে এপার বাংলায় আমরা তাঁর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছি। পাগলের মূল মন্ত্রই হচ্ছে ‘দুলিতে ফুলিতে বিন্দুতে সই’। দুই বাংলার সংস্কৃতি, ভক্তিরসের মেলবন্ধন সেতু তৈরি করেন কালীসাধক গণেশ পাগল।