গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ছিনতাইবাজকে পাওয়া গেলেও সামগ্রী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। উল্টে মাদকাসক্ত আজিজুলকে হেফাজতে নিয়ে ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ দশা জিআরপির। নিয়মিত হেরোইন সেবন করেন সে। জিআরপি হেফাজতে গিয়েও একই আবদার তার। না দিলেই শুরু করছে উৎপাত।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বিহারের রাজেন্দ্র নগরের মীরা সিং বেঙ্গালুরু থেকে ভায়া আসানসোল হয়ে রাজেন্দ্রনগর ফিরছিলেন এক্সেপ্রেস ট্রেনে। সংরক্ষিত কামরায় নিশ্চিন্তভাবে যাচ্ছিলেন। ট্রেন আসানসোল স্টেশন ছাড়ার পরই বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে তাঁর হাতব্যাগ ছিনিয়ে মুহূর্তে ভ্যানিস হয়ে যায় ছিনতাইবাজ। মার্চ মাসে আসানসোল জিআরপিতে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। মহিলার অভিযোগ, ব্যাগে সোনার চেন, আংটি ছিল। জানুয়ারি মাসে অণ্ডাল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একই কায়দায় চলন্ত ট্রেন থেকে মোবাইল ছিনিয়ে চলে যায় ছিনতাইবাজ। অভিযোগকারীদের বয়ান দেখে জিআরপি অনেকটাই নিশ্চিত হয় আজিজুলই এই কাজে যুক্ত। প্রথমে অণ্ডাল জিআরপি মোবাইল চুরিকাণ্ডে তাকে হেফাজতে নিয়েছিল। ঘটনার কথা স্বীকার করলেও মোবাইলের সন্ধান দেয়নি সে। এরপরই বৃহস্পতিবার আসানসোল জিআরপি মীরাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে আজিজুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আসানসোল সিজেএম এজলাসে তোলে। বিচারক অভিযুক্তর দু’দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার আজিজুলকে নিয়ে শক্তিগড়ের একাধিক সোনার দোকানে হানা দেয় জিআরপি। কিন্তু মেলেনি চোরাই মালের সন্ধান।
জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু এক্সেপ্রেস নয়, লোকাল ট্রেনেও হানা দিত সে। সবচেয়ে বেশি হানা দিয়েছে আসানসোল থেকে আদ্রাগামী লোকালগুলিতে। সে ধরা পড়ায় একাধিক মামলার জট আটবে বলে আশা। অনেক আগে থেকেই বর্ধমান শক্তিগড় সহ বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় সে এধরনের অপারেশন চালিয়ে আসছে। তার মুখ আরপিএফ ও জিআরপি চিনে ফেলায় সেখানে অপারেশন চালানো তারপক্ষে কঠিন হয়ে যায়। তারপরই শিল্পাঞ্চলকে চুরির জন্য বেছে নেয় সে।