সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম এলাকার বিভিন্ন নদীর তট এখন বালির অবৈধ কারবারিদের স্বর্গরাজ্য বলা যেতে পারে! স্থানীয় পুলিস ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই বালি তোলার কাজে মেতে উঠেছে? অবৈধভাবে বালি তোলার ফলে কাটা পড়ছে জঙ্গলের গাছ। নদীর চরের ভাঙন ধেয়ে আসছে গ্রামের দিকে। আর তারই প্রতিবাদে শুক্রবার ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের কুলিয়ানা গ্রাম এলাকার কয়েকশো গ্রামবাসী অবৈধ বালির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁদের অভিযোগ, গোপীবল্লভপুর এলাকায় চোরমুণ্ডি ঘাট ও গোপীবল্লভপুর এই দু’টি বৈধ বালি খাদান রয়েছে। তার বাইরে অবৈধভাবে এখানে অসাধু ব্যবসায়ীরা পুলিস ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অবাধে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিভাগীয় প্রশাসনিক দপ্তরকে জানিয়েও এর কোনও সুরাহা মেলেনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে এই আশ্বাস দিলে গ্রামবাসীদের অবরোধ উঠে যায়। এই নিয়ে কুলিয়ানা গ্রামের বাসিন্দা সুকোমল মহাপাত্র বলেন, আমরা এর আগেও ডিএম ও বিভাগীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি। অবৈধভাবে এখানে থেকে বালি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের জঙ্গলের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বালির গাড়ি যাওয়ার রাস্তার জন্য। নদীর চর নষ্ট করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে আমরা গ্রামবাসীরা আজকে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। এই নিয়ে গ্রামবাসী ভবানীশংকর বারিক বলেন, যেখানে নদীর বালি তোলার বৈধ প্লট আছে, তার বাইরেও বালি তোলা হচ্ছে।
এই নিয়ে গোপীবল্লভপুর ২ বিএলআ্যান্ডএলআরও সুবীর বিশ্বাস বলেন, ১১১ নম্বর যে বালি খাদানের কথা বলা হচ্ছে, তা এই এলাকায় পড়ে না। তবুও ফোন মারফত আমার কাছে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ এসেছে। আমি লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। কোনও কিছু পাইনি। বিষয়টি অবজারভেশনে রেখেছি। পরবর্তী কালে এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে আমরা গাড়িগুলি সিজ করব। এই নিয়ে গোপীবল্লভপুর ২ বিডিও নীলোৎপল চক্রবর্তী বলেন, একটি অলিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিএলআরও-র লোকজন সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁরা সে রকম কিছু পাননি। তবে অভিযোগ যখন উঠছে, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হবে, যাতে পরবর্তীতে অবৈধভাবে বালি তোলা না হয়।
প্রতীকী চিত্র