রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৩৫ সালে ওই স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৯৪৬ সালে ফের সেখানে নতুন করে পঠনপাঠন শুরু হয়। পরের বছর স্কুলটি সরকারি অনুমোদন পায়। এরপর আর থেমে থাকেনি। গ্রামের কিছু বাসিন্দার কঠোর পরিশ্রমে আজ ওই স্কুল এলাকায় নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্কুলের জন্য জমি দান করেছিনে দেবী অচলা নন্দিনী। পরে সেখানে স্কুল ভবন তৈরি করেন তাঁর ছেলে অজিতকুমার চট্টোপাধ্যায়।
স্কুলের শিক্ষকরা জানান, প্রথম থেকেই স্কুলে পঠনপাঠনের মানের দিকে নজর দেওয়া হতো। সেই ধারাবাহিকতা আজও বজায় রয়েছে। প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এই স্কুলের বেশিরভাগ পড়ুয়াই প্রথম বিভাগে পাশ করেন। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের অনেকেই সরকারি বিভিন্ন উচ্চপদে চাকরি করেছেন। এই স্কুল থেকেই পড়াশোনা করে জেলাশাসক হয়েছিলেন কামিনীমোহন সরকার। ডিএসপি পদে চাকরি করেছেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সামসুজ্জোহা ও দাউদ হোসেন। রবিবার তাঁরা প্লাটিনাম জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। এদিন ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
প্লাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানে স্কুলের নতুন ও প্রাক্তনীদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটে। এদিন অসংখ্য প্রাক্তনী স্কুলে হাজির হন। প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে শনিবার থেকে তিনদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছাড়াও নাটক ও নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সেরা ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম বলেন, নতুন ও প্রাক্তনীদের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা তিনদিনের অনুষ্ঠান করছি। এই স্কুলে পড়াতে পেরে আমরা সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা গর্ববোধ করি। তবে স্কুলের এখনও অনেক সমস্যা রয়ে গিয়েছে। শিক্ষকরা জানান, স্কুলে বর্তমানে ১৬৩৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। তবে চারজন পার্শ্বশিক্ষক সহ ১৬জন শিক্ষক রয়েছেন। দ্রুত স্কুল ভবন সংস্কারের প্রয়োজন।