বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়না-২ ব্লকের কাইতি ও সংলগ্ন মৌজায় নলবাহী পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এই কাজ শেষ হলে ৩২ হাজার ৬২৪ বাসিন্দা উপকৃত হবেন। জামালপুরের কালেরা এলাকাতেও এই প্রকল্পের কাজ করা হবে। গলসি-২ ব্লকের সাটিনন্দী, মেমারি-১ ব্লকের সাহাপুর, খণ্ডঘোষের পুনসুর, রিচখারা এলাকাতেও কাজ করা হবে। এক আধিকারিক বলেন, সামনের বছরের মধ্যেই রাজ্যের সব প্রান্তেই জলজীবন মিশন প্রকল্পে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাঝে বেশ কিছুদিন এই প্রকল্পের কাজের গতি কমে গিয়েছিল। সেই কারণে ফের কাজে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো চলছে কিনা সেদিকে কেন্দ্রও নজর রেখেছে। ধাপে ধাপে এই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। আগামী দিনে জেলার সমস্ত বাড়িতেই পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট রয়েছে। জেলার কয়েকটি এলাকায় আর্সেনিকের দাপট রয়েছে। ওই এলাকাগুলিতেও দ্রুত জল সংযোগ দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। জেলার সাত থেকে আটটি ব্লকের জলস্তরও দ্রুতগতিতে নামছে। সাবমার্সিবল বা নলকূপ থেকে জল তোলা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আধিকারিকদের মত। সেই কারণেই নদী থেকে জল তুলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তা বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বামেদের আমলে অধিকাংশ গ্রামেই পানীয় জলের সঙ্কট ছিল। পুকুরের জলও খেতে হতো। কিন্তু এখন সেই দিন নেই। অধিকাংশ গ্রামেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে গিয়েছে। এখন অনেক গ্রামে জল অপচয় হয়। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের সচেতন হতে হবে। জল অপচয় করা কখনওই উচিত নয়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বর্ধমান পুর এলাকাতেও অম্রুত প্রকল্পের কাজ চলছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, পাইপ লাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নদীতেও প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। সামনের বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।