কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে জেল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁদের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। তারপর গলায় মালা পরিয়ে রীতিমতো বীরের সম্মান দেওয়া হয় তাঁদের। কার্যত বিজয় মিছিলের কায়দায় তাঁদের শহরে নিয়ে আসা হয়। গণহত্যায় অভিযুক্তদের বীরের সম্মান দেওয়ায় জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, এটাই সিপিএমের কালচার। যারা খুন করবে, ধর্ষণ করবে, লুট করবে, অগ্নিসংযোগ করবে, তারাই বীরের সম্মান পাবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, যা করেছি, ঠিক করেছি। আমাদের কমরেডদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া হয়েই মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নেতাইয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল তৃণমূল। এদিকে জেল থেকে ছাড়া পেতেই সক্রিয় রাজনীতিতে নামার কথা ঘোষণা করেছেন দু’জনই। ডালিম পাণ্ডে বলেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দলের কর্মীরা আমার পাশে এসে দাঁড়াল, তাতে আমি অভিভূত। আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছিল। তাঁর সংযোজন, ফের সক্রিয় রাজনীতিতে নামব। দলের নির্দেশে কাজ করব। একমাত্র লাল ঝাণ্ডাই তৃণমূলকে উত্খাত করতে পারবে। তপন দে বলেন, ১৫বছর বয়সে আমি যখন কমিউনিস্ট পার্টি করতে এসেছিলাম। তখনই জেনেছিলাম, কমিউনিস্টদের দমন করার জন্য আইনে অনেক ব্যবস্থা রয়েছে। আজ আমার বয়স ৬৮। যতদিন বাঁচব, কমিউনিস্ট পার্টিই করব। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামের সিপিএম কর্মী রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় প্রাণ হরিয়েছিলেন ন’জন, আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ২৮ জন। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হন অনুজ, ডালিম, তপনরা। তবে তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা করছে তৃণমূল।
নিজস্ব চিত্র