কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অভিষেকের সভায় রেকর্ড জমায়েতের লক্ষ্যে গত কয়েক সপ্তাহে জেলার প্রায় প্রতি প্রান্তেই মিটিং, মিছিল করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে জেলাজুড়ে তিন হাজারের বেশি মিটিং, মিছিল হয়েছে। মানুষ মনেপ্রাণে সভায় আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। মাঠ উপচে পড়বে। এত লোক আসবে মাঠে হয়তো সবাইকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জন্য সভাস্থলের চারপাশে পাঁচটি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, সড়কপথেই আসার কথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের। তারজন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিষেককে স্বাগত জানাতে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিষেকের আসার পথের ফ্লেক্স, ব্যানারে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সভাস্থলকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যারিকেড করা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সভাস্থল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিস। অভিষেকের সভায় আসার বাস নেওয়ায় নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। এনিয়ে আগেভাগেই মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বাম আমলে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে কেশপুর। তৃণমূল করার অপরাধে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। সেসব দিনকে পিছনে ফেলে এসেছেন কেশপুরের মানুষ। তবে, এখন তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তীব্র। একাধিকবার সংঘর্ষও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের এই সভা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। দলের কোন্দল মেটাতে কী বার্তা দেন অভিষেক, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়ার কথায়, আগামী দিনে দল কোন পথে চলবে, সেই দিশা দেখাবেন অভিষেক। অভিষেকের সভা নিয়ে মানুষের উন্মাদনা আগে দেখিনি।