পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
খানাকুল-১ বালিপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ছত্রসাল এলাকার বাসিন্দা মানোয়ার হোসেন ও আসরফ আলি মোল্লার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সমস্যার সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকবার আলোচনাও হয়। যদিও সেই আলোচনায় কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। অশান্তির সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার সকালে। বালিপুরের ছত্রসাল এলাকার জমিতে এদিন সকালে আলু লাগানোকে কেন্দ্র করে মানোয়ার হোসেন ও আসরফ আলির লোকদের ঝামেলা হয়। সেই সমস্যা প্রাথমিকভাবে মিটেও যায়। বিষয়টি খানাকুল থানায় জানানো হলে দুই পক্ষকে বালিপুর পুলিস ক্যাম্পে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। মানোয়ার হোসেনের ভাই ইমতিয়াজ মোল্লা বলেন, সালিশিতে ওদের পাঁচজন ও আমাদের পাঁচজন লোক গিয়েছিল। আলোচনার সময় আশরফ আলির লোকজন তাঁর দাদার জামার কলার ধরে মারধর করে। তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। আশরফ আলির পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, মানোয়ার হোসেনের অনেক লোকজন ক্যাম্প চত্বরে ছিল। ওরাই ক্যাম্পে ঢুকে প্রথমে হামলা চালায়। এই ঘটনায় সকাল দশটার সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালিপুর পুলিস ক্যাম্প। দুইপক্ষের লোকজন ক্যাম্প ভাঙচুর চালায়। বাঁশ ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয় ক্যাম্পের পুলিস কর্মীদের ওপর। ঘটনায় এক পুলিস কর্মী গুরুতর জখম হন। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। বালিপুর ক্যাম্প লাগোয় বালিপুর-১ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েতে দরকারি কাজে এদিন বহু মানুষ এসেছিলেন। আতঙ্কে তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অভিযোগ, পুলিস বিনা কারণে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। বালিপুর এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সাকিম বলেন, গত একবছর ধরে মানোয়ার হোসেন ও আশরাফ আলি মোল্লার মধ্যে ঝামেলা চলছে। ছত্রসালের দাসপুর এলাকায় দুইজনের জমি আছে। সেখানে জমির সীমানা নিয়ে দুইজনের বিবাদ চলছে। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় স্তরে বহুবার আলোচনা হয়েছে।
এদিনও বালিপুরের পুলিস ক্যাম্পে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে আলোচনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারি ও পুলিসের গায়ে হাত তোলার ঘটনা নিন্দাজনক। বালিপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ গোলাম নবি বলেন, পুলিস ক্যাম্পের পাশেই বালিপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত অফিস। বহু মানুষ এদিন পঞ্চায়েতের কাজে এসেছিলেন। এই ঘটনায় পঞ্চায়েতে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। স্থানীয় বাসিন্দা নিলুফা বেগম বলেন, সকালে পঞ্চায়েতের কাজে এসেছিলাম। হঠাৎ পুলিস লাঠি নিয়ে তেড়ে এল। হুড়োহুড়ি করে পালাতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছি। আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। একজন পুলিস ধাক্কাধাক্কির সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আরামবাগ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বালিপুর পুলিস ক্যাম্পের ঘটনাটা আমরা পুরো খতিয়ে দেখছি।