কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এসপি ঈশাণী পাল বলেন, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ভীমপুর থানা বিশেষ অভিযান চালায়। ২০টি সোনার বিস্কুট সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার বড়সড় সাফল্য। সীমান্তে থানাগুলি বিভিন্ন জিনিস পাচার নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকে। পুলিস প্রশাসন এই ধরনের কাজ বন্ধ করতে তৎপর রয়েছে। সাম্প্রতিকালে সীমান্ত দিয়ে সোনার বিস্কুট পাচার বেড়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার তা উদ্ধারও হয়েছে। ভারতের বাজারে সোনার বিস্কুটের চাহিদাই এই চোরাচালানে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে মনে করছেন অফিসাররা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, একবছরে ভারতের বাজারে সোনার চাহিদা ৮০ শতাংশ বেড়েছে। মার্কেটে ২০২০ সালে সোনার চাহিদা ছিল ৪৪৬.৪ টন। কিন্তু ২০২১ সালে ভারতের বাজারে সোনার চাহিদা হয়ে দাঁড়ায় ৭৯৭.৩ টন। ২০২২ সাল এখনও শেষ হয়নি। তবে, এবছর সোনার চাহিদা ৮০০ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার অন্যতম কারণ হল বর্তমানে করোনার প্রভাব না থাকা। যে কারণে পুজোর মরশুমেও সোনার ব্যাপক চাহিদা ছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ২০টি সোনার বিস্কুটের ওজন ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকার উপরে। বরুণ ও প্রদীপ বাইকে করে সীমান্ত দিয়ে যাচ্ছিল। শিমুলিয়া-মহেষপুর রোড ধরে মাজদিয়ার দিকে যাচ্ছিল তারা। সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভীমপুর থানার পুলিস অভিযান চালায়। তল্লাশি চালাতেই তাদের থেকে এই সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়।
ভীমপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, কী কারণে এই সোনার বিস্কুট ওপার থেকে এনেছিল তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।