গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিহারীবাবুকে ‘বহিরাগত’ বলে উপ নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিরোধীরা। তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষ হাসি হেসেছিলেন শত্রুঘ্ন। জিতেই আর সময় আর নষ্ট করেননি তিনি। বিরোধীদের মুখতোড় জবাব দিয়েছেন কর্মে। সাত মাসে কমকরে সাতটি কর্মকাণ্ড তাঁর ঝুলিতে। এক, পাণ্ডবেশ্বরে দু’টি নতুন কমিউনিটি হল নির্মাণে ৫০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছেন। দুই, আসানসোল বিবি কলেজে অডিটোরিয়ামের জন্য বরাদ্দ করেছেন ৫০ লক্ষ টাকা। তিন, ওই স্কুলেই সোলার প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ করেছেন ২৫ লক্ষ টাকা। চার, আসানসোল ধাতকা এন সি লাহিড়ি স্কুলে পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ ২৭ লক্ষ টাকা। পাঁচ, পাণ্ডবেশ্বরে রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ করেছেন ৩০ লক্ষ টাকা। ছয়, ন’জন দুঃস্থ মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী তহবিল থেকে টাকা অনুমোদন। সাত, আসানসোলের এসবি গরাই রোডের উপর রেলওয়ে ওভারব্রিজ গড়ার কাজে গতি আনা। রাজধানী মর্যাদার একটি ট্রেন আসানসোল থেকে দিল্লি পর্যন্ত চালু করারও দাবি তুলেছেন বিহারীবাবু। এছাড়াও আসানসোল মেডিক্যাল কলেজ গড়তে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রাক্তন মন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাত মাসের কাজের তালিকা তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আমি আসানসোল লোকসভা এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি। আগামীদিনেও থাকব। সামনেই লোকসভার অধিবেশন। সেখানে যতটা সম্ভব এলাকার সমস্যা নিয়ে আমি সরব হব। কোনও ভাবেই আসানসোলকে বঞ্চিত হতে দেব না।’ তাঁর সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক হরেরাম সিং, আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক এবং তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু।
রাজনীতির ময়দানে শত্রুঘ্ন’র কাছে হেরে গিয়েও নানাভাবে তাঁকে আক্রমণ করেই যাচ্ছিল গেরুয়া শিবির। এলাকায় তৃণমূল সাংসদকে দেখা যাচ্ছে না, আসানসোলবাসীর কোনও কাজেই আসছেন না তিনি—এমন সব কথা বলে সরব হয়েছিল তারা। এদিন তার জবাব দিতে গিয়ে বিভিন্ন কাজের তথ্য তুলে ধরেছেন বিহারীবাবু। রাজনৈতিক মহল যাকে বলছে ‘শ্বেতপত্র’। সেখানে দেখা গিয়েছে, মাত্র সাত মাসে ২৮ জন রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন এমপি। তার মধ্যে ন’টি আবেদনের উপর অর্থ মঞ্জুরও হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তিন লক্ষ বা তারও বেশি আর্থিক সাহায্যও পাওয়া গিয়েছে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন। তবে, তিনি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন আসানসোলের রেল ব্যবস্থা ও রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন করে মানুষের ভোগান্তি কমাতে। আসানসোল-চেন্নাই, আসানসোল-আমেদাবাদ, আসানসোল-মুম্বাই ট্রেনগুলি বর্তমানে সাপ্তাহিক। রেলের কাছে ওই ট্রেনগুলি প্রতিদিন চালানোর আর্জি জানিয়েছেন সাংসদ। তাঁর দাবি, রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া রেল যোগাযোগ স্থাপন করার দাবিও তুলেছেন শত্রুঘ্ন।