কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০০৫ সালে সমুদ্রগড় গোয়ালপাড়ার কয়েকজন যুবক এইডস দিবসকে সামনে রেখে সমাজ সচেতনতার বার্তা নিয়ে পথে নামেন। তাতে মানুষের প্রশংসাও পান। তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে প্রয়াস। শুরুতে ২০ জন সদস্য থাকলেও তাদের কাজকর্ম দেখে বাড়তে থাকে সদস্য সংখ্যা। যোগ দেন চিকিৎসক, শিক্ষক থেকে বেকার যুবক-যুবতীরা। সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৭০ ছাড়িয়ে যায়। ২০০৮ সালে রেজিস্ট্রেশন হয় ক্লাবের। বাড়ে নিঃস্বার্থ সামাজিক কাজের পরিধি। এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বিভিন্ন সময় সমাজিক কাজে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেন। সরকারি পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান পায় প্রয়াস। করোনা পরিস্থিতিতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে রান্না করা ও শুকনো খাবার নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সদস্যরা। স্যানিটাইজার, মাস্ক বিলি করা হয়। বর্তমানে এলাকার দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে থেকে কেউ মারা গেলে সৎকারের কাজে সাহায্য, দুঃস্থ পড়ুয়াদের সহযোগিতার ঠিকানা হয়ে উঠেছে প্রয়াস। গুণীজন ও মেধাবী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা, রক্তদন শিবির, করোনা যোদ্ধাদের সম্মান দিতে মঞ্চ গড়ে তারা। এছাড়াও সাংস্কৃতিক প্রসারে সদস্যরা শুরু করেন নসরৎপুর লোকসংস্কৃতি উৎসব। ১ ডিসেম্বর থেকে স্থানীয় দক্ষিণ গোয়ালপাড়া আদবাসী ফুটবল মাঠে উৎসব শুরু হয়েছে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি যাত্রাপালাও মঞ্চস্থ হবে। সূচনা পর্বে প্রাণকৃষ্ণ বসাক, জীবন বসাক, সমরেশ দাসরা আন্তরিকভাবে প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যান। পরবর্তীতে পাশে পান জসিম শেখ, সুভাষ বসাক, অমর বিশ্বাস, রাজু বসাক, সুজয় ঘোষদের।
প্রাণকৃষ্ণবাবু বলেন, মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদে আমাদের পথ চলা শুরু হয়। এইডস থেকে আরও নানা মারণ ব্যধি ও ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে আমরা বারবার মানুষের দরজায় ও পথে নেমেছি। রক্তদানে মুমূর্ষ রোগীদের পাশে থেকেছি। পড়াশোনার ফি কোচিং সেন্টার ও চাকরি প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানুষের পাশে থাকাই প্রয়াসের লক্ষ্য। আমাদের পাশে থেকে সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে কৃতজ্ঞ।