বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যুবকের অভিযোগ, একদিন হঠাৎই আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। অন্তঃসত্ত্বা ওই নাবালিকাকে বিয়ে করার জন্য রীতিমতো চাপ দিতে থাকে পাড়ার মোড়লরা। তাঁদের দাবি, ওই নাবালিকাকে অন্তঃসত্ত্বা করার দায় আমার। তাই আমাকেই তার সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে। সেদিন কেউই শোনেনি আমার কথা। রীতিমতো চাপ দিয়ে একটি মুচলেখা স্বাক্ষর করিয়ে নেয় স্থানীয় কিছু মোড়ল ও নাবালিকার পরিবার। জোর করে বিয়েও দেওয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে গ্রাম থেকে পালিয়ে ওই যুবক মেদিনীপুর আদালতে এসে মামলা করেন। মামলার নোটিস যায় অভিযুক্ত নেতাদের কাছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। মামলা তোলার জন্য রীতিমতো চাপ দেওয়া হয় যুবকের পরিবারকে। এক ঘরে করে দেওয়া হয় তাদের।
এই পরিস্থিতিতে ওই নাবালিকা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালত। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, নাবালিকার কন্যা সন্তানের বাবা ওই যুবক নন। চলতি বছরের ৪ আগস্ট ওই নাবালিকাকে (বর্তমানে যুবতী) গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার না করায় ফের আদালতে অভিযোগ করেন যুবকের আইনজীবী। ১০ নভেম্বর ফের আনন্দপুর থানাকে যুবতীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত। বুধবার যুবতীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলে পুলিস। একাধিক কারণ দেখিয়ে শর্তসাপেক্ষ জামিন নেন যুবতী। মামলার সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় আনন্দপুর থানাকে। সেইসঙ্গে কন্যা সন্তানের প্রকৃত বাবাকে খুঁজে বের করতে বলা হয়। যুবকের আইনজীবী শমিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছিল। কিন্তু যাঁরা ফাঁসিয়েছিল তাঁরা এখনও অধরা। আশা করি, পুলিস তদন্ত করে তাদের খুঁজে বের করবে।