পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সবংয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই মাদুর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। মাদুরকাঠি চাষ, মাদুর তৈরি ও বাজারে পাঠানোর কাজে বহু মানুষ যুক্ত রয়েছেন। এখানকার মাদুরের বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় এই শিল্প ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। মাদুরের উপর নানা শিল্প ফুটিয়ে তুলে তাক লাগান এখানকার শিল্পীরা। তবে অনেক সমস্যাও রয়েছে। সেসবও সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে মাদুর শিল্পের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন এখানকার মাদুর শিল্পীরা।
মানসবাবু বলেন, ওঁরা সবংয়ের নাম উজ্জ্বল করেছেন। পুরস্কার পাওয়ায় আমরা গর্বিত। মসলন্দির উপর পুরস্কার পেলেন। আগেই নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়া হল। এর আগেও এই সারতা গ্রামের ছ’জন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বলেন, ইউনেস্কো মাদুর শিল্প দেখতে পরিদর্শন করেছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে মাদুরহাব তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি সবচেয়ে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাদুর চাষ ও শিল্পকে ১০০ দিনের কাজে যুক্ত করা হয়েছে। এরফলে আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। ব্লকের তিন লক্ষ আট হাজার বাসিন্দার মধ্যে এক লক্ষ ৪৮ হাজার মহিলা। তাঁদের ৯০ শতাংশই মাদুর শিল্পী। ৫০ জন মসলন্দি শিল্পী আছেন।
পুরস্কার প্রাপক তিন শিল্পীই ছোট থেকে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। মিঠুদেবীর স্বামী আলোক জানাও ২০০৮ সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এখন তিনি কুরুক্ষেত্রের মেলায় আছেন। সেখানে সবংয়ের মাদুর নিয়ে গিয়েছেন। মিঠুদেবী বলেন, এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই গর্বিত। গৌরীরানিদেবী বলেন, আমার স্বামী তাপস জানা ২০১৬ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। এবার আমি পেলাম। খুবই ভালো লাগছে। মাদুর বুনে এই জায়গায় আসতে পারব আগে ভাবিনি। আর এক পুরস্কার প্রাপক গৌরীবালাদেবী বলেন, আমার স্বামী ও সন্তানরা অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু আমি প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেলাম। খুব ভালো লাগছে। নিজস্ব চিত্র