কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আসানসোল ডিভিশনে রেলের তিনটি স্কুল চালু রয়েছে। তারমধ্যে আসানসোলের ইস্টার্ন রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল শতাব্দী প্রাচীন ও ঐতিহ্যমণ্ডিত। এই স্কুল থেকে শিক্ষা অর্জন করে বহু পড়ুয়া চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছেন। আজও দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদের কাছে এই স্কুলটির গুরুত্ব অপরিসীম। এর কারণ কম ফিতে উন্নত মানের পঠনপাঠন হয় এখানে। তাই এই স্কুলে ভর্তি হওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে। এমন স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে আসানসোল উত্তাল হয়েছিল। এবার নতুন বিতর্ক অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি। প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সেশন ফি ছিল ২২০ টাকা, তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ফি ছিল ২৩১ টাকা, তাও বেড়ে ২৪০০ টাকা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য ফি ছিল ২৩৭ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগে ৩৮৭ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা।
বিষয়টি নিয়ে এখন তোলপাড় স্কুল। অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ, কিন্তু মুখ খুললেই নেমে আসে রাজদণ্ড। তাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অভিভাবক বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি টিউশন করে সংসার চালাই। অনেকের বাবা ফেরি করে, দোকান করেও সংসার চালাচ্ছেন। আমাদের পক্ষে কি এক ধাক্কায় এত টাকা দেওয়া সম্ভব। আমরা আসানসোলের মেয়রের কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আসলে রেল চাইছে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে, যাতে স্কুল থেকে আমাদের সন্তানদের সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হই। তাতে তাদের স্কুল বন্ধের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।
আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্কুল বন্ধ করার প্রতিবাদেও তৃণমূল কংগ্রেস অভিভাবকদের সঙ্গে ছিল, এবারও থাকবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে আমাদের এমপির মাধ্যমে বিষয়টি রেলমন্ত্রীর নজরে আনা হবে। প্রয়োজনে আন্দোলনে নামব।