গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঘাটাল শহরের উপর দিয়ে শিলাবতী নদী প্রবাহিত হয়ে গিয়েছে। ওই পুরসভার মোট ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে নদীর এক দিকে রয়েছে ১ থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড। আর নদীর অন্য দিকে রয়েছে ১৩ নম্বর থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। নদীর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে ঘাটাল শহর তথা ঘাটাল মহকুমার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্রটি। শহরের ২, ৩, ৪, ৫ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড মিলিয়ে ওই এলাকায় কয়েক হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরের বাসিন্দারা বলেন, ওই এলাকার বেশ কিছু দোকানদার প্রত্যেক দিন দোকান পরিষ্কার করে আবর্জনা শিলাবতী নদীতে ফেলেন। ওইসব আবর্জনার মধ্যে পলিথিন, চটের থলে, খালি কার্টন থেকে শুরু করে নানারকম জিনিসপত্র থাকে।
শহরের কিছু কিছু হোটেলের মালিকের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাঁরা রাতের অন্ধকারে হোটেলের সমস্ত অব্যবহৃত জিনিসপত্র, আবর্জনা ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে নদীতে ফেলেন। পুরসভার নিযুক্ত সুইপাররাও মাঝে মাঝে নার্সিং হোমের বর্জ্যপদার্থ ওই নদীতেই ফেলেন।
এই সমস্ত আবর্জনা নিয়মিত ফেলার ফলে বিগত এক-দেড় দশকের মধ্যে নদীটি প্রস্থের দিক থেকে ৩০ ফুটেরও বেশি ভরাট হয়ে গিয়েছে। শিলাবতী নদী যে ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে তা স্বীকার করেছেন ঘাটাল মহকুমা সেচ ও জলপথ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমিত দাস। তিনি বলেন, নদীতে ও পাড়ে আবর্জনা ফেলার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের দেখার কথা। তাই এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।