পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সমাবেশে লাগাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির অপমান, নেতা-মন্ত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য, বাংলায় অশান্তি ছড়ানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি ও বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ করা হয়। রামনগর বাজারে দীঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের উপর সমাবেশে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বনদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, কারামন্ত্রী অখিল গিরি সহ অন্যান্য নেতারা বিজেপিকে আক্রমণ শানান। তাঁদের বক্তব্যের মূল নিশানা ছিলেন বিরোধী দলনেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষের এই ভিড় রামনগরের তৃণমূলকে অনেকটাই অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কুণালবাবু বলেন, বাঁচার লড়াইয়ে মানুষের পাশে রয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, সবটাই দিচ্ছে তৃণমূল শাসিত সরকার। বিজেপি শুধু মুখে বাতেলা মারা ছাড়া আর কিছু করছে না। ১০০দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নজর ঘুরিয়ে দিতে ব্যক্তি আক্রমণ, কুৎসা, সিবিআই জুজু, হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে বেছে নিয়েছে বিজেপি। অখিলবাবুকে বিজেপি ধারাবাহিকভাবে উত্ত্যক্ত করায় তিনি কিছু মন্তব্য করে ফেলেছেন। দল এই বক্তব্যকে সমর্থন করে না। আর বিরোধী দলনেতা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে জুতোর তলায় রাখার কথা বলেছেন। যদি চন্দ্র, সূর্য ঠিক থাকে, তাহলে একদিন তাঁকে বীরবাহার জুতো পালিশ করিয়ে ছাড়ব। অখিলবাবু থাকাকালীনই ওঁকে জেলে ঢোকাব। রামনগরে বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারবে না। সবক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে আসবে। আগামী ৩ডিসেম্বর কাঁথিতে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সফল করার আহ্বান জানান কুণালবাবু সহ অন্যান্য নেতারা। বীরবাহা বলেন, বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ডিসেম্বরে নাকি সরকার থাকবে না। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আপনাকে বলছি, তার আগে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া শুধু ঝাড়গ্রামে ঢুকে দেখান।