বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে ছিল গান্ধীঘাট। তবে চলতি বছরেই তা ঢেলে সাজিয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষ। এবার কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটের মতো করে নদীর ধার বরাবর সৌন্দর্যায়ন করা হবে। শুরুতে বোল্ডার কিংবা পাথর ফেলে নদীর পাড় বাঁধানো হবে। তারপর প্রাচীর তোলা হবে। প্রিন্সেপ ঘাটের মতোই থাকবে বসার জন্য একাধিক বেঞ্চ। সেইসঙ্গে বসানো হবে রকমারি গাছ। থাকছে অত্যাধুনিক লাইট। পুরসভার দাবি, মেদিনীপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণ করার জায়গা সেইভাবে নেই বললেই চলে। গান্ধীঘাটের কাছে মানুষ যাতে প্রাতঃভ্রমণ করতে পারেন, সেই বন্দোবস্তও থাকছে। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খাঁ বলেন, আমরা ডিপিআর করে পাঠিয়েছিলাম। রাজ্য থেকে গ্রিন সিগন্যাল মিলেছে। টাকাও ঢুকে যাবে শীঘ্রই। তারপরেই আমরা কাজ শুরু করব।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে জেলা সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শহরে এত বেশি পরিমাণ ধুলো ওড়ে, তার কারণ শহরে কোনও ফুটপাত নেই। শহরের প্রত্যেকটা জায়গায় ফুটপাত করবে। আর ফুটপাতের পাশে পাশে গাছ লাগাবে। এর ফলে ফুটপাত যেমন দখল হবে না, তেমনই ফুটপাত দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন মানুষ। এছাড়াও মেদিনীপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মাঝ বরাবর ব্যারিকেড রয়েছে। সেই ব্যারিকেডকে শহরের যানজটের অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করা হয়। ব্যারিকেড থাকার দরুণ রাস্তার মাঝখানের অনেকটা জায়গা অব্যবহৃত থেকে যায়। সেই ব্যারিকেডগুলো তুলে রাস্তা সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো কেরানিতলা থেকে রাঙামাটি ফ্লাইওভার এবং কেরানিতলা থেকে জজ কোর্ট পর্যন্ত রাস্তার সম্প্রসারণ ও কংক্রিটের ফুটপাত তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে ফুটপাতের পাশে গাছও লাগানো হবে। খরচ হবে প্রায় এক কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। যদিও শহরের রাস্তার দু’ধারের ফুটপাত দখল হয়ে গিয়েছে, যা শহরের যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ। তবে রাস্তা সম্প্রসারণের সময় দখলদারদের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধবে না তো? এই প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, দখলদারদের সঙ্গে আলোচনা করেই রাস্তার সম্প্রসারণ করা হবে।