পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মণ্ডপে আদিবাসী অধ্যুষিত একটি বন্য গ্রামকে তুলে ধরা হচ্ছে। সেখানে একটি বিশাল গাছকে কেন্দ্র করেই গোটা মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। গাছটি কাটতে এগিয়ে আসছে এক কুঠারধারী। মধুকরেরা কেউ গাছ জড়িয়ে আছেন। কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন, যাতে কুঠারধারী গাছ কাটতে না পারে। অসুর এখানে কুঠারধারী। তাকেই বধ করতে এগিয়ে আসছেন মা দুর্গা। তিনিও এখানে মধুকরের বেশে। কার্তিক, গণেশ সকলেই অসুরের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন। কার্তিক গাছকে জড়িয়ে রেখেছেন। গাছ কাটা হবে দেখেই পেঁচা উড়ে যাচ্ছে। সেটা ধরতে ব্যস্ত লক্ষ্মী। এভাবেই আদিবাসী মানুষের বেশে সপরিবারে দুর্গার আগমন হয়েছে।
হাল্কা আলোয় গোটা মণ্ডপের অপরূপ শোভায় মোহিত হবেন দর্শকরা। দিন রাত এক করে শেষ মুহূর্তের পুজোর প্রস্তুতি সারছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। ক্লাবের সম্পাদক সুরজিৎ সরকার বলেন, পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দিতেই আমাদের এবারের এই বিষয় উপস্থাপন করা হচ্ছে। আদিবাসী এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে মা দুর্গার আগমন। তারা সকলেই মধুকর। গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। সবুজ বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন। কাঠুরেরাই এখানে অসুর। তাদের বধ করে প্রকৃতিকে বাঁচানোর লড়াই চলছে।
পুজোর উপদেষ্টা পাপাই ঘোষ বলেন, এই মণ্ডপে এবার সবই পরিবেশ বান্ধব জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে। থার্মোকল ও পলিথিন বর্জন করে এই মণ্ডপ সাজিয়ে তোলাই চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের। সেটা করতে পেরেছি। ক্লাবের সকল সদস্য ও সদস্যা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাস্তুতন্ত্র রক্ষার বিষয়কে তুলে ধরছেন। এই মণ্ডপ এবং প্রতিমা সাধারণ মানুষকে পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হতে বার্তা দেবে।
১৯৬৮ সালে সৈদাবাদ এলাকায় কুহেলী সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা হয়। প্রথমে পাড়ার ছেলেমেয়েরা সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছিলেন। তার কয়েক বছর পর থেকে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। এলাকায় দু’টি দুর্গাপুজোর মধ্যে অনেকটাই ব্যবধান ছিল। তখন ক্লাবের ছেলেরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। ৪৭ বছর আগে থেকে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। তবে পুজোয় জাঁকজমক ক্রমশ বাড়ছে। এবারও দর্শনার্থীরা মণ্ডপে ভিড় জমাবেন বলে আশাবাদী উদ্যোক্তরা।