বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিবারের বর্তমান সদস্যরা বলেন, এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা কাশীনাথ চৌধুরী। আগে বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো হতো। স্বপ্নাদেশে দুর্গাপুজোর প্রচলন হয়। রথের দিন দেবীর মূর্তির মাটির কাজ শুরু হয়। রথের দিন থেকেই নিত্যপুজো শুরু হয়ে যায়। মূল পুজো শুরু হয় পঞ্চমীর দিন। এই পরিবারের নিজস্ব পুকুর ও জমি আছে। পুজোর সময় নিজস্ব পুকুরেই কলাবউ স্নান করানো হয়। এই পরিবারের পুজোয় কলাবউ স্নান করানোর শোভাযাত্রায় পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শামিল হন গ্রামের বহু মানুষ। মায়ের কাছে গ্রামের বিভিন্ন মানুষ মানত করেন। বংশপরম্পরায় ঢাকি, নাপিত ও পুরোহিতরা পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। আজও সেই রীতিতে বদল আসেনি। নবমীর দিন কুমারী পুজো চৌধুরী বাড়ির পুজোর বিশেষ আকর্ষণ। ওইদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার গ্রামের মানুষ ভোগ খান। পঞ্চামী থেকে একেবারে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ করেন। বাড়ির মহিলারাই পুজোর সমস্ত আয়োজন করে থাকেন। ষষ্ঠীর দিন পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় তিন হাজার মানুষকে বস্ত্রদান করা হয়। আগে বলিপ্রথা ছিল। ৫০ বছর আগে স্বপ্নাদেশেই বলি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সন্ধিক্ষণের সময় বলির বদলে মায়ের পায়ে সিঁদুরদান করা হয়। বর্তমানে এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা বিশ্বেশ্বর চৌধুরী বলেন, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে গ্রামের মানুষজন এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। বাড়ির মহিলারা ষষ্ঠীর দিন মাকে গয়নায় সাজিয়ে তোলেন। আশপাশের গ্রামের বহু মানুষজন এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। প্রাচীন রীতি-নীতি মেনেই মা পূজিত হয়ে আসছেন। পুজোর দিনগুলিতে বাড়ির সকল সদস্য থেকে আত্মীয়স্বজনরা একসঙ্গে মিলিত হই। আনন্দে মেতে উঠি। আমরা পরিবারের সকল সদস্য অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজো করে থাকি।