রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্র চণ্ডীপুর থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন সোহম। ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা। তমলুক থানার কুমোরগঞ্জ এলাকায় ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ছুটছে তাঁর গাড়ি। আচমকা সোহম দেখতে পান, সড়কের ধারে পড়ে কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। খানিকটা দূরে পড়ে তাঁর বাইক। চালককে গাড়ি থামাতে বলেন সোহম। আগুপিছু না ভেবেই জখম ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে সোজা তমলুক জেলা হাসপাতাল। তাঁকে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তবেই হাসপাতাল ছাড়েন ‘মায়ার বাঁধন’-এর কুশল। জানা গিয়েছে, জখম ওই ব্যক্তির নাম আশিস মাইতি। বাড়ি তমলুক থানার নাইকুড়ি গ্রামে। পেশায় পানের ব্যবসায়ী। সন্ধ্যায় নিমতৌড়ি পানবাজার থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন আশিসবাবু। কুমোরগঞ্জ এলাকায় জাতীয় সড়কে তাঁর বাইকের সঙ্গে কোনও গাড়ির সংঘর্ষ হয়। ছিটকে পড়েন তিনি। সেই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সোহম। আশিসবাবুর কপাল ফেটেছে। গুরুতর চোট পেয়েছেন পায়েও। ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। নিরাপত্তারক্ষী এবং স্থানীয়দের সাহায্যে আশিসবাবুকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন চণ্ডীপুরের বিধায়ক। সোহম বলছিলেন, ‘আমি কলকাতা ফিরছিলাম। আসার পথে কুমোরগঞ্জ এলাকায় দেখি, রাস্তার ধারে বাইক পড়ে রয়েছে। খানিকটা দূরে পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। গাড়ি পিছিয়ে এনে আহত ব্যক্তির কাছে যাই। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস সুপারকে ফোন করি। এর মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন জড়ো হন। তাঁদের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তারদের সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলে কলকাতায় ফিরি।’
তারকা বিধায়ক হলেও বিধানসভা এলাকায় সোহমের জনসংযোগ বেশ প্রশংসিত। রেয়াত করেন না দুর্নীতিকেও। এর আগে নিজের আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে সরাসরি থানায় এফআইআর করে নজর কেড়েছিলেন তিনি। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছিল। তাঁর নাম ভাঙিয়ে কোনওরকম টাকা পয়সা তোলা যাবে না বলে ঘনিষ্ঠদের কড়া বার্তাও দিয়ে রেখেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘নায়ক’-এর মানিবক মুখ দেখলেন জেলাবাসী। চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো আশিসবাবুকে হাসপাতালে না আনলে তাঁর আরও বিপদ ঘটতে পারত। ঘটনার কথা জেনে সোহমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। একই সঙ্গে যুব নেতা দেবপ্রসাদ মহাপাত্রকে হাসপাতালে পাঠান তিনি। চণ্ডীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, ‘সোহমের মানবিক ব্যবহারে আমরা গর্বিত।’ নিজস্ব চিত্র