গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ১৬ মার্চ কাঁথি পুরসভার নতুন বোর্ড গঠন হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন সুবল মান্না। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মন্ত্রীপুত্র সুপ্রকাশ গিরি। কাঁথি শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি শুভদীপ মূলত সুপ্রকাশ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তিনি একটি ঠিকাদার সংস্থার মালিক। সম্প্রতি পুরসভার চেয়ারম্যান ওই ছাত্রনেতার ঠিকাদার সংস্থাকে ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৪৮ টাকার একটি কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংক্রিট রাস্তা ও ড্রেনের কাজ হবে। ওই ওয়ার্ক অর্ডারের কপি সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।
শুভদীপ গতবছর কাঁথি পিকে কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেছেন। ইতিমধ্যে নিজের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্সও বের করেছেন। কাঁথি পুরসভা থেকে মোটা অর্থের টেন্ডার পাওয়ার নেপথ্যে প্রভাব খাটানো হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। যদিও এবিষয়ে ওই ছাত্রনেতা বলেন, আমি ২০১৮-’১৯ সাল থেকে ঠিকাদারি পেশার সঙ্গে যুক্ত। তবে, পুরসভার কাজ এই প্রথম পেয়েছি। এই কাজ নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় আমি সরে দাঁড়াব বলে ঠিক করেছি। আমার পক্ষে ওই কাজ করা সম্ভব নয় বলে পুরসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব।
এব্যাপারে সুপ্রকাশ গিরি বলেন, শুভদীপ দলের ছাত্র শাখার নেতা। আমার ঘনিষ্ঠ, সেটা তাঁর পরিচয় নয়। তাঁর সংস্থাকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব খাটানো হয়নি। এধরনের কাজে তাঁর অভিজ্ঞতাও আছে। অনলাইন টেন্ডারে অংশ নিয়ে তিনি কাজ পেয়েছেন। এই পুরসভার একজন কাউন্সিলার একসঙ্গে পাঁচটি কাজ পেয়েছেন। তাহলে কাউন্সিলারের ঠিকাদার সংস্থা কার সুপারিশে কাজ পেল? কাঁথি পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলার তথা বিধায়ক অরূপ দাস বলেন, শহরে কাজকর্ম নিয়ে মিটিংয়ে কোনও আলোচনা হয় না। আমরা বারবার স্বচ্ছতা বজায় রেখে ই-টেন্ডারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু, কাটমানির সুবিধার জন্য পছন্দের লোকজনকে কাজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা থেকে সেটা আরও একবার পরিষ্কার হল। আমরা এই বিষয়টি পরবর্তী মিটিংয়ে তুলব। একজন কাউন্সিলার পাঁচটি কাজ পেয়েছেন বলে ভাইস চেয়ারম্যান দাবি করছেন। তাহলে কাঁথি পুরসভায় কী চলছে সেটা শহরবাসীর জানা উচিত।