বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের এনামুল হক উৎসবের সময় কয়েক হাজার বস্ত্র দান করত। এলাকার অসুস্থ ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করে দিত। বিভিন্ন সময় মঞ্চ বেঁধে দান করত। সেই মঞ্চে এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালীকেও বহুবার দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি এনামুলের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে পুলিস কর্তাদেরও। লালগোলার একটি অনুষ্ঠানে এক পুলিস কর্তার সঙ্গে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় ভাইরাল হয়েছে। এনামুল ছাড়াও মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন গোরু কারবারি একই পথ নিয়েছিল। তারা অবশ্য এখন অন্তরালে।
বীরভূমের এক পাচারকারীও তার আয়ের একাংশ বিভিন্ন সামাজিক কাজে ব্যয় করত। কেউ তার কাছে গেলে খালি হাতে ফিরতে হতো না। অনেককেই সে সাহায্য করেছে। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ওর কাজ ছিল সকলকে ম্যানেজ করে গোরু পাচারের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া। পাচারের পথ মসৃণ রাখতে সে সমস্ত রকম চেষ্টা করত।
সিবিআইয়ের স্ক্যানারে থাকা পূর্ব বর্ধমান জেলার কয়েকজন কারবারিও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তারাও বিভিন্ন উৎসবের সময় দান করে থাকে। আধিকারিকদের মতে, মাফিয়াদের এটা পুরনো কৌশল। তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে রাখতে চায়। প্রয়োজনে তারা দাপটও দেখায়। তাই তাদের বিরোধিতা করার সাহস সচারচর কেউ দেখান না। সিবিআইয়ের নজরে থাকা প্রত্যেক গোরু মাফিয়া নিজেদের এলাকায় সমাজসেবী হিসেবে পরিচয় দিত। সেই কারণে প্রভাবশালীদের সঙ্গে মঞ্চে থাকতে তাদের কোনও অসুবিধা হতো না।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মতো পূর্ব বর্ধমানের কয়েকজন সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে গোরু মাফিয়াদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগ রয়েছে।