কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুক্রবার ঝুলন পূর্ণিমা শেষ দিনেও নবদ্বীপ ও মায়াপুরে পুণ্যার্থীর ভিড় উপচে পড়ল। ভোর থেকে মন্দিরগুলিতে ভিড় করেছিলেন অসংখ্য ভক্ত ও পর্যটকরা। মায়াপুরের ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দির নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দির, সমাজবাড়ি আশ্রম, জন্মস্থান মন্দির, শ্রীবাস অঙ্গন, বলদেব জিউ মন্দির, বড় আখড়া শ্যামসুন্দর মন্দির, গোরাচাঁদ আখড়া, মদনমোহন মন্দির, রাধাশ্যামসুন্দর মন্দির সহ বিভিন্ন মঠ মন্দির ফুলমালা ও আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছিল। ঝুলন উপলক্ষে মন্দিরগুলিতে রাধাকৃষ্ণকে সিংহাসনে ঝুলনে দোলানো হয়। মন্দিরগুলিতে নানারকমের পুতুল দিয়েও সাজানো হয়েছিল। প্রথা মেনে এক পক্ষকাল ব্যাপী ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরে ঝুলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে পূর্ণিমা থাকা পর্যন্ত ঝুলনে দোলানো হয় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত প্রদীপকুমার গোস্বামী বলেন, এদিন সকাল থেকে হরিনাম সংকীর্তন আর ঝুলনের গানে মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। পূর্ণিমার সকালে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে ভোগ দেওয়া হয় ক্ষীর, নানা রকমের মিষ্টি। দুপুরে পঞ্চব্যঞ্জন সহ অন্ন ভোগ। বিকালে ছানা, মিষ্টি এবং রাতে লুচি, মালপোয়া, আলুর দম, ক্ষীর, মিষ্টি তালের বড়া। রাতে ভক্তদের ভোগ বিতরণ করা হয়। ঝুলন উপলক্ষে ইসকনের রাধামাধবকে ঝুলনে দোলানোর জন্য মূল মন্দির চত্বরে গোশালা আর পদ্মপুকুরের পাশে সুসজ্জিত ঝুলন মণ্ডপ তৈরি করা হয়। সেখানেই ঝুলন পূর্ণিমা পর্যন্ত পাঁচদিন রাধামাধবকে নিয়ে ঝুলন উৎসব উদযাপিত হয়। ঝুলনের পাঁচদিন বিগ্রহকে বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। পরানো হয়েছিল নিত্যনতুন পোশাক। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ৮ থেকে ১২ আগস্ট নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ঝুলন উৎসব পালন করা হয়। রাজবেশে নবদ্বীপের ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু।