পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, রক্তদাতা নিয়ে গিয়েও ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ না করতে পারায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার অমিয়কুমার বেরা বলেন, ঘটনা অনভিপ্রেত। রক্তের অভাবে কোনও রোগীর মৃত্যু হয়েছে এটা মেনে নেওয়া যায় না। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তলব করেছেন হাসপাতাল সুপার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে জারিয়া খাতুনকে মাতৃমা বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাত সাতটা নাগাদ রোগীর পরিবারকে দু’বোতল রক্তের জন্য বলা হয়। মৃতের শ্বশুর কুদরোতোল্লা শেখ বলেন, দু’জন রক্তদাতা নিয়ে আমরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে যাই। কিন্তু আমাদের বলা হয়, সাতটা বেজে গিয়েছে আর রক্ত সংগ্রহ করা যাবে না। অথচ ব্লাড ব্যাঙ্কে দু’জন কর্মী খোশ মেজাজে গল্প করছিল। কুদরোতোল্লার অভিযোগ, রক্ত দিতে না পারার জন্যই রাত দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় জারিয়া খাতুনের। এদিকে মৃতের মা বেলা বিবির অভিযোগ, মেয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শুনে আমি তাকে দেখতে গেলে আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃতের পরিজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। গভীর রাতে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুধু মৃতের পরিবার নয়, মাতৃমা বিভাগে পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনেকেই।
সাগরদিঘিতে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু: সাগরদিঘি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মালগাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রেল পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মঙ্গল শেখ(৪০)। তাঁর বাড়ি বীরভূমের লোহাপুরে। তবে, বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সাগরদিঘিতে বাস করতেন। রেল পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রেল লাইন ধরে মাঠে যাওয়ার সময় তিনি আচমকা আজিমগঞ্জগামী একটি মালগাড়ির সামনে চলে আসেন। মালগাড়ির ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বহরমপুরে জাতীয় পতাকা হাতে র্যালি এনএসএস ক্যাডারদের: বহরমপুর কলেজের এনএসএস ইউনিট আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। শুক্রবার দুপুরে এই উপলক্ষে কলেজ থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। শতাধিক এনএসএস ক্যাডার জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শহর প্ররিক্রমা করে। পাশাপাশি পথচলতি মানুষকে রাখি পরিয়ে দেন এনএসএস ক্যাডাররা। একইসঙ্গে এদিন আন্তর্জাতিক যুবদিবসও পালন করা হয়। বহরমপুর কলেজের এনএসএস ইউনিটের প্রোগ্রাম অফিসার ইন্দ্রাণী বসু বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শহিদদের সম্মান জানাতেই আমরা পথে নেমেছি।